কক্সবাজারে নারী পর্যটককে গণধর্ষণ: জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মশাল মিছিল
মিছিল থেকে পর্যটন স্পটগুলোর নিরাপত্তা জোরদার, ছিনতাইসহ অপরাধ প্রবণতা প্রতিরোধ ও পর্যটক হয়রানি বন্ধের দাবি জানানো হয়
কক্সবাজারে নারী পর্যটককে গণধর্ষণ: জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মশাল মিছিল
আবদুল আজিজ, কক্সবাজার
প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:০৩ পিএমআপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:০৩ পিএম
কক্সবাজারে নারী পর্যটককে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মশাল মিছিল করেছে ছাত্র ইউনিয়ন কক্সবাজার শহর শাখা।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে মিছিলটি শহরের লালদিঘীর পাড় থেকে বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল থেকে পর্যটন স্পটগুলোর নিরাপত্তা জোরদার, ছিনতাইসহ অপরাধ প্রবণতা প্রতিরোধ ও পর্যটক হয়রানি বন্ধের দাবি জানানো হয়।
পরে একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্র ইউনিয়ন কক্সবাজার জেলা সংসদের সভাপতি জয় বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক মুক্তাদিল জয়, শহর সংসদের সাধারণ সম্পাদক নিলয় দাশ জেলা সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলু দে।
এসময় বক্তারা বলেন, “৪৮ঘন্টার মধ্যে ধর্ষকদের বিচারের আওতায় আনা না হলে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কক্সবাজার জেলা সংসদ আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
এদিকে, ওই পর্যটককে গণধর্ষণের অভিযোগে “জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের” ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন জনের মধ্যে দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে, তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে র্যাব-১৫।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে হোটেল ম্যানেজারকে আটক করা হয়। কক্সবাজার র্যাব-১৫-এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান ঢাকা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শনাক্ত অভিযুক্তরা হলো- কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার আরিফুল ইসলাম আশিক ও তার সহযোগী আব্দুর রহমান জয়।
ভুক্তভোগী নারী জানান, স্বামী-সন্তান নিয়ে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে আসেন তিনি। ওঠেন কক্সবাজার শহরের হলিডে মোড় এলাকার একটি হোটেলে। ওই দিন বিকেলে হোটেল থেকে নেমে স্বামীসহ সৈকতের লাবণী পয়েন্টে যান। পরে সন্ধ্যায় হোটেলে ফেরার পথে এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তার সঙ্গেও বাগবিতণ্ডা শুরু হলে “স্থানীয়” পরিচয়ে আরও দুই তরুণ ঘটনাস্থলে হাজির হয়।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, “তাৎক্ষণিক তারা আমার স্বামী-সন্তানকে ইজিবাইকে তুলে আমাদের আলাদা করে ফেলে। পরে আমাকে ওই এলাকার একটি ঝুপড়ি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। একপর্যায়ে আমার শিশু সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করার ভয় দেখায় এবং হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে ওই যুবকের কথামতো ‘স্ত্রী’ পরিচয় দেই। কক্ষে নিয়ে আমাকে আবারও ধর্ষণ করে রুমের দরজা আটকে পালিয়ে যায় এক যুবক। এরপর হোটেল থেকে বেরিয়ে প্রথমে ৯৯৯ ফোন করি এবং পরে র্যাবকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে আসে।"
ওই নারীর বরাত দিয়ে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, “গত মঙ্গলবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে যান ওই নারী। ওঠেন শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে। সেখান থেকে বিকেলে যান সৈকতের লাবণী পয়েন্টে। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে; কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। আরেকটি অটোরিকশায় ওই নারীকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তিনজন। এরপর তাকে নেওয়া হয় একটি হোটেলে। সেখানে আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। ঘটনা কাউকে জানালে তার সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে হুমকি দিয়ে কক্ষটি বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা।”
কক্সবাজারে নারী পর্যটককে গণধর্ষণ: জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মশাল মিছিল
মিছিল থেকে পর্যটন স্পটগুলোর নিরাপত্তা জোরদার, ছিনতাইসহ অপরাধ প্রবণতা প্রতিরোধ ও পর্যটক হয়রানি বন্ধের দাবি জানানো হয়
কক্সবাজারে নারী পর্যটককে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মশাল মিছিল করেছে ছাত্র ইউনিয়ন কক্সবাজার শহর শাখা।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে মিছিলটি শহরের লালদিঘীর পাড় থেকে বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল থেকে পর্যটন স্পটগুলোর নিরাপত্তা জোরদার, ছিনতাইসহ অপরাধ প্রবণতা প্রতিরোধ ও পর্যটক হয়রানি বন্ধের দাবি জানানো হয়।
পরে একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্র ইউনিয়ন কক্সবাজার জেলা সংসদের সভাপতি জয় বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক মুক্তাদিল জয়, শহর সংসদের সাধারণ সম্পাদক নিলয় দাশ জেলা সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলু দে।
এসময় বক্তারা বলেন, “৪৮ঘন্টার মধ্যে ধর্ষকদের বিচারের আওতায় আনা না হলে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কক্সবাজার জেলা সংসদ আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
এদিকে, ওই পর্যটককে গণধর্ষণের অভিযোগে “জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের” ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন জনের মধ্যে দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে, তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে র্যাব-১৫।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে হোটেল ম্যানেজারকে আটক করা হয়। কক্সবাজার র্যাব-১৫-এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান ঢাকা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শনাক্ত অভিযুক্তরা হলো- কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার আরিফুল ইসলাম আশিক ও তার সহযোগী আব্দুর রহমান জয়।
ভুক্তভোগী নারী জানান, স্বামী-সন্তান নিয়ে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে আসেন তিনি। ওঠেন কক্সবাজার শহরের হলিডে মোড় এলাকার একটি হোটেলে। ওই দিন বিকেলে হোটেল থেকে নেমে স্বামীসহ সৈকতের লাবণী পয়েন্টে যান। পরে সন্ধ্যায় হোটেলে ফেরার পথে এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তার সঙ্গেও বাগবিতণ্ডা শুরু হলে “স্থানীয়” পরিচয়ে আরও দুই তরুণ ঘটনাস্থলে হাজির হয়।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, “তাৎক্ষণিক তারা আমার স্বামী-সন্তানকে ইজিবাইকে তুলে আমাদের আলাদা করে ফেলে। পরে আমাকে ওই এলাকার একটি ঝুপড়ি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। একপর্যায়ে আমার শিশু সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করার ভয় দেখায় এবং হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে ওই যুবকের কথামতো ‘স্ত্রী’ পরিচয় দেই। কক্ষে নিয়ে আমাকে আবারও ধর্ষণ করে রুমের দরজা আটকে পালিয়ে যায় এক যুবক। এরপর হোটেল থেকে বেরিয়ে প্রথমে ৯৯৯ ফোন করি এবং পরে র্যাবকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে আসে।"
ওই নারীর বরাত দিয়ে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, “গত মঙ্গলবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে যান ওই নারী। ওঠেন শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে। সেখান থেকে বিকেলে যান সৈকতের লাবণী পয়েন্টে। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে; কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। আরেকটি অটোরিকশায় ওই নারীকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তিনজন। এরপর তাকে নেওয়া হয় একটি হোটেলে। সেখানে আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। ঘটনা কাউকে জানালে তার সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে হুমকি দিয়ে কক্ষটি বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা।”