নতুন বিশ্ব রেকর্ডের স্বীকৃতি হিসেবে ২১ ডিসেম্বর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ নিপাকে স্বীকৃতিপত্র পাঠিয়েছে
নুসরাত জাহান নিপা। ছবি: ঢাকা ট্রিবিউন
আনিসুর রহমান, বরিশাল
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:৫৮ পিএমআপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:৫৮ পিএম
বরিশালের তরুণী নুসরাত জাহান নিপা (৩০) নাম লিখিয়েছেন গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। তা-ও আবার এক হাতে একের ওপরে এক করে মাত্র এক মিনিটে ৭১টি কয়েন সাজিয়ে টাওয়ার বানিয়ে। তিনি ইতালীয় নাগরিক সিলভিও সাবার ছয় বছর আগের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন।
নুসরাত জাহান নিপা বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল সংলগ্ন লুৎফর রহমান সড়কের বাসিন্দা ও ব্যাংক কর্মকর্তা কাজী সামশুজ্জামানের স্ত্রী। নগরীর দক্ষিণ সাগরদী এলাকার দেওয়ান আব্দুর রশিদ ও পারভীন আক্তার দম্পতির একমাত্র মেয়ে নুসরাত জাহান সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর শেষ করে বর্তমানে বেসরকারি একটি উন্নয়ন সংস্থায় (এনজিও) চাকরি করছেন।
নতুন বিশ্ব রেকর্ডের স্বীকৃতি হিসেবে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ নিপাকে স্বীকৃতিপত্র পাঠিয়েছে।
এর আগে সিলভিও ৬৯টি কয়েন সাজিয়ে ২০১৫ সালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেয়েছিলেন। “মোস্ট কয়েন স্ট্রাকড ইন টু এ টাওয়ার” ক্যাটাগরিতে ইতালির সিলভিওর চেয়ে দুইটি কয়েন বেশি সাজিয়ে নুসরাত জাহান নিপা এখন সেই রেকর্ডের মালিক।
নুসরাত জাহান নিপা বলেন, ২০২০ সালে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময় লকডাউনে বাসায় অলস সময় পার করছিলাম। তখন ইউটিউবে ইতালির সিলভিও সাবার টাওয়ার আকারে কয়েন সাজানো ভিডওটি চোখে পড়ে। তখন আমিও একটার ওপর আরেকটি কয়েন সাজাতে শুরু করি। মাসখানেক নিয়মিত অনুশীলন করেছি। লকডাউনের পর ব্যস্ততার কারণে অনুশীলন আর করা হয়নি। এ বছরের মার্চ মাস থেকে আবার কয়েন নিয়ে অনুশীলন শুরু করি। জানতাম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পাওয়া কঠিন বিষয়। এজন্য নিয়মিত অনুশীলন ও একনিষ্ঠ মনোযোগ দরকার। তাই একাগ্রতা দিয়ে অনুশীলন করতে থাকি। অবশেষে সফলতা আসে।
তিনি বলেন, “আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ‘মোস্ট কয়েন স্ট্রাকড ইন টু এ টাওয়ার’ ক্যাটাগরিতে ইতালির সিলভিও’র রেকর্ড ভাঙার চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করি। আবেদনের প্রায় এক মাস পর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ সাড়া দেয়। তারা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের নির্দেশনা জানায় আমাকে। সেই নির্দেশনা মেনে গত ২৪ আগস্ট আমি এক মিনিটে এক হাত ব্যবহার করে একটার ওপর আরেকটি কয়েন সাজিয়ে সিলভিও’র রেকর্ড ভাঙতে সক্ষম হই। সিলভিও এক মিনিটে ৬৯টি কয়েন সাজিয়ে রেকর্ড করেছিলেন। আমি এক মিনিটে তার চেয়ে আরও দুইটি বেশি কয়েন অর্থাৎ ৭১টি কয়েন টাওয়ার আকারে সাজিয়ে ছিলাম। রেকর্ডের দাবিদার হিসেবে ভিডিওসহ আনুষঙ্গিক প্রমাণাদি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাই। এরপর যাচাই-বাছাই করে স্বীকৃতি দেয় কর্তৃপক্ষ। সেই স্বীকৃতির সনদ মঙ্গলবার আমি হাতে পেয়েছি।”
নুসরাত জাহান নিপা বলেন, “অনুশীলনের সময় আমার স্বামী কাজী সামশুজ্জামান উৎসাহ যুগিয়েছেন। তার উৎসাহ আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। এমন একজন জীবনসঙ্গী পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার।”
নুসরাত জাহান নিপার স্বামী কাজী সামশুজ্জামান জানান, নিপা যে কাজটিই করে, সেটি নিখুঁতভাবে করার চেষ্টা করে। তার ধৈর্যও বেশি। আমার বিশ্বাস ছিল সে পারবে। সে সফল হয়েছে।
নিপার বাবা গন-সংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী দেওয়ান আব্দুর রশিদ নিলু জানান, বাংলাদেশের একমাত্র নারী হিসেবে বিশ্বরেকর্ড করছে নিপা। এটা আমাদের পরিবার-পরিজনের জন্য যেমন গর্বের বিষয়, তেমনি করে বাংলাদেশের জন্যও সম্মান ও গর্বের বিষয়। সবার কাছে ওর জন্য সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ুর দোয়া প্রার্থনা করছি।
কয়েন সাজিয়ে গিনেস বুকে বরিশালের নিপা
নতুন বিশ্ব রেকর্ডের স্বীকৃতি হিসেবে ২১ ডিসেম্বর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ নিপাকে স্বীকৃতিপত্র পাঠিয়েছে
বরিশালের তরুণী নুসরাত জাহান নিপা (৩০) নাম লিখিয়েছেন গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। তা-ও আবার এক হাতে একের ওপরে এক করে মাত্র এক মিনিটে ৭১টি কয়েন সাজিয়ে টাওয়ার বানিয়ে। তিনি ইতালীয় নাগরিক সিলভিও সাবার ছয় বছর আগের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন।
নুসরাত জাহান নিপা বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল সংলগ্ন লুৎফর রহমান সড়কের বাসিন্দা ও ব্যাংক কর্মকর্তা কাজী সামশুজ্জামানের স্ত্রী। নগরীর দক্ষিণ সাগরদী এলাকার দেওয়ান আব্দুর রশিদ ও পারভীন আক্তার দম্পতির একমাত্র মেয়ে নুসরাত জাহান সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর শেষ করে বর্তমানে বেসরকারি একটি উন্নয়ন সংস্থায় (এনজিও) চাকরি করছেন।
নতুন বিশ্ব রেকর্ডের স্বীকৃতি হিসেবে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ নিপাকে স্বীকৃতিপত্র পাঠিয়েছে।
এর আগে সিলভিও ৬৯টি কয়েন সাজিয়ে ২০১৫ সালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেয়েছিলেন। “মোস্ট কয়েন স্ট্রাকড ইন টু এ টাওয়ার” ক্যাটাগরিতে ইতালির সিলভিওর চেয়ে দুইটি কয়েন বেশি সাজিয়ে নুসরাত জাহান নিপা এখন সেই রেকর্ডের মালিক।
নুসরাত জাহান নিপা বলেন, ২০২০ সালে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময় লকডাউনে বাসায় অলস সময় পার করছিলাম। তখন ইউটিউবে ইতালির সিলভিও সাবার টাওয়ার আকারে কয়েন সাজানো ভিডওটি চোখে পড়ে। তখন আমিও একটার ওপর আরেকটি কয়েন সাজাতে শুরু করি। মাসখানেক নিয়মিত অনুশীলন করেছি। লকডাউনের পর ব্যস্ততার কারণে অনুশীলন আর করা হয়নি। এ বছরের মার্চ মাস থেকে আবার কয়েন নিয়ে অনুশীলন শুরু করি। জানতাম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পাওয়া কঠিন বিষয়। এজন্য নিয়মিত অনুশীলন ও একনিষ্ঠ মনোযোগ দরকার। তাই একাগ্রতা দিয়ে অনুশীলন করতে থাকি। অবশেষে সফলতা আসে।
তিনি বলেন, “আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ‘মোস্ট কয়েন স্ট্রাকড ইন টু এ টাওয়ার’ ক্যাটাগরিতে ইতালির সিলভিও’র রেকর্ড ভাঙার চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করি। আবেদনের প্রায় এক মাস পর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ সাড়া দেয়। তারা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের নির্দেশনা জানায় আমাকে। সেই নির্দেশনা মেনে গত ২৪ আগস্ট আমি এক মিনিটে এক হাত ব্যবহার করে একটার ওপর আরেকটি কয়েন সাজিয়ে সিলভিও’র রেকর্ড ভাঙতে সক্ষম হই। সিলভিও এক মিনিটে ৬৯টি কয়েন সাজিয়ে রেকর্ড করেছিলেন। আমি এক মিনিটে তার চেয়ে আরও দুইটি বেশি কয়েন অর্থাৎ ৭১টি কয়েন টাওয়ার আকারে সাজিয়ে ছিলাম। রেকর্ডের দাবিদার হিসেবে ভিডিওসহ আনুষঙ্গিক প্রমাণাদি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাই। এরপর যাচাই-বাছাই করে স্বীকৃতি দেয় কর্তৃপক্ষ। সেই স্বীকৃতির সনদ মঙ্গলবার আমি হাতে পেয়েছি।”
নুসরাত জাহান নিপা বলেন, “অনুশীলনের সময় আমার স্বামী কাজী সামশুজ্জামান উৎসাহ যুগিয়েছেন। তার উৎসাহ আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। এমন একজন জীবনসঙ্গী পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার।”
নুসরাত জাহান নিপার স্বামী কাজী সামশুজ্জামান জানান, নিপা যে কাজটিই করে, সেটি নিখুঁতভাবে করার চেষ্টা করে। তার ধৈর্যও বেশি। আমার বিশ্বাস ছিল সে পারবে। সে সফল হয়েছে।
নিপার বাবা গন-সংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী দেওয়ান আব্দুর রশিদ নিলু জানান, বাংলাদেশের একমাত্র নারী হিসেবে বিশ্বরেকর্ড করছে নিপা। এটা আমাদের পরিবার-পরিজনের জন্য যেমন গর্বের বিষয়, তেমনি করে বাংলাদেশের জন্যও সম্মান ও গর্বের বিষয়। সবার কাছে ওর জন্য সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ুর দোয়া প্রার্থনা করছি।