চালক-কর্মচারীরা না পালিয়ে লঞ্চটি নোঙর করলে বেঁচে যেতো বহু প্রাণ
‘চালকবিহীন লঞ্চটি নদীতে ভেসে ওপারের দিয়াকুল গ্রামে গিয়ে থেমে যায়। সেখানে ভিড়তে ৪০ মিনিট সময় লেগে যায়। এ সময়ের মধ্যে প্রাণহানি অনেক বেড়ে যায়’
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী লঞ্চ অভিযান ১০ এ আগুন লাগে ফেসবুক
ট্রিবিউন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭:৫৩ পিএমআপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭:৫৮ পিএম
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চটিতে আগুন লাগার পর এর চালক–কর্মচারীরা লঞ্চ রেখে ঝালকাঠি সদরের চরভাটারকান্দা গ্রামে পালিয়ে যান। তবে এমন ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এ বছরের ১২ আগস্টে অভিযান-১০ লঞ্চটি ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে বরগুনায় যাওয়ার পথে ঝালকাঠির রাজাপুরে বিষখালী নদীর ডুবোচরে আটকে যায়। সেদিনও গভীর রাতে যাত্রীদের লঞ্চে রেখেই পালিয়ে গিয়েছিলেন চালক ও কর্মচারীরা।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অভিযোগ ছিল, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীটি প্রস্থে খুব বেশি বড় না হওয়ায় আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে চালক পাড়ে নোঙর করতে পারতেন। তা না করে চালকসহ কর্মচারীরা লঞ্চ ফেলে পালিয়ে যায়। বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক তদন্তেও উঠে এসেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও চরভাটারকান্দা গ্রামের স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে লঞ্চটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়লে চালক চরভাটারকান্দা গ্রামের চরে ভেড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু উচ্চ জোয়ারের চাপে লঞ্চটি সেখানে ভিড়তে পারেনি। পরে সেখানে দুই শতাধিক যাত্রী নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চটির চালক ও কর্মচারীরা সেখানে নেমে পালিয়ে যান। পরে চালকবিহীন লঞ্চটি নদীতে ভেসে ওপারের দিয়াকুল গ্রামে গিয়ে থেমে যায়। সেখানে ভিড়তে ৪০ মিনিট সময় লেগে যায়। এ সময়ের মধ্যে প্রাণহানি অনেক বেড়ে যায়।
এর আগে এ বছরের ১২ আগস্টের ঘটনায় আটকে যাওয়া যাত্রীরা অভিযোগ করেছিলেন, শাহরুখ-২ নামের একটি লঞ্চের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যাচ্ছিল অভিযান-১০। পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় তা ডুবোচরে আটকে যায়। চার শতাধিক যাত্রীকে তখন গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা না করেই চালক ও কর্মচারীরা পালিয়ে যান। পরদিন শুক্রবার সকালে যাত্রীরা লঞ্চ থেকে নেমে নিজ খরচে গন্তব্যে চলে যান। ডুবোচরে লঞ্চটি ১০ দিন আটকা থাকার পর ডকইয়ার্ডে নিয়ে নতুন ইঞ্জিন সংযোজনসহ আধুনিকায়ন করা হয়।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত করছে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল। গতকাল রোববার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান ঝালকাঠি লঞ্চঘাটে পুড়ে যাওয়া লঞ্চটি পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, “ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীটি তেমন বড় নয়। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে চালক একটি পাড়ে নোঙর করতে পারতেন। তখন মানুষ লাফিয়ে তীরে আসত। কিন্তু চালক তা না করে যাত্রীদের আগুনের মধ্যে ফেলে রেখে চলে যান।”
চালক-কর্মচারীরা না পালিয়ে লঞ্চটি নোঙর করলে বেঁচে যেতো বহু প্রাণ
‘চালকবিহীন লঞ্চটি নদীতে ভেসে ওপারের দিয়াকুল গ্রামে গিয়ে থেমে যায়। সেখানে ভিড়তে ৪০ মিনিট সময় লেগে যায়। এ সময়ের মধ্যে প্রাণহানি অনেক বেড়ে যায়’
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চটিতে আগুন লাগার পর এর চালক–কর্মচারীরা লঞ্চ রেখে ঝালকাঠি সদরের চরভাটারকান্দা গ্রামে পালিয়ে যান। তবে এমন ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এ বছরের ১২ আগস্টে অভিযান-১০ লঞ্চটি ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে বরগুনায় যাওয়ার পথে ঝালকাঠির রাজাপুরে বিষখালী নদীর ডুবোচরে আটকে যায়। সেদিনও গভীর রাতে যাত্রীদের লঞ্চে রেখেই পালিয়ে গিয়েছিলেন চালক ও কর্মচারীরা।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অভিযোগ ছিল, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীটি প্রস্থে খুব বেশি বড় না হওয়ায় আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে চালক পাড়ে নোঙর করতে পারতেন। তা না করে চালকসহ কর্মচারীরা লঞ্চ ফেলে পালিয়ে যায়। বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক তদন্তেও উঠে এসেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও চরভাটারকান্দা গ্রামের স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে লঞ্চটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়লে চালক চরভাটারকান্দা গ্রামের চরে ভেড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু উচ্চ জোয়ারের চাপে লঞ্চটি সেখানে ভিড়তে পারেনি। পরে সেখানে দুই শতাধিক যাত্রী নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চটির চালক ও কর্মচারীরা সেখানে নেমে পালিয়ে যান। পরে চালকবিহীন লঞ্চটি নদীতে ভেসে ওপারের দিয়াকুল গ্রামে গিয়ে থেমে যায়। সেখানে ভিড়তে ৪০ মিনিট সময় লেগে যায়। এ সময়ের মধ্যে প্রাণহানি অনেক বেড়ে যায়।
এর আগে এ বছরের ১২ আগস্টের ঘটনায় আটকে যাওয়া যাত্রীরা অভিযোগ করেছিলেন, শাহরুখ-২ নামের একটি লঞ্চের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যাচ্ছিল অভিযান-১০। পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় তা ডুবোচরে আটকে যায়। চার শতাধিক যাত্রীকে তখন গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা না করেই চালক ও কর্মচারীরা পালিয়ে যান। পরদিন শুক্রবার সকালে যাত্রীরা লঞ্চ থেকে নেমে নিজ খরচে গন্তব্যে চলে যান। ডুবোচরে লঞ্চটি ১০ দিন আটকা থাকার পর ডকইয়ার্ডে নিয়ে নতুন ইঞ্জিন সংযোজনসহ আধুনিকায়ন করা হয়।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত করছে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল। গতকাল রোববার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান ঝালকাঠি লঞ্চঘাটে পুড়ে যাওয়া লঞ্চটি পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, “ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীটি তেমন বড় নয়। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে চালক একটি পাড়ে নোঙর করতে পারতেন। তখন মানুষ লাফিয়ে তীরে আসত। কিন্তু চালক তা না করে যাত্রীদের আগুনের মধ্যে ফেলে রেখে চলে যান।”