বগুড়ায় লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত ডিপ্লোমা প্রকৌশল (টেক্সটাইল) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাকিবুল ইসলামকে (২০) উদ্ধার ও তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সদর থানা পুলিশ শনিবার রাতে শহরের খান্দার এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতার করে। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীর বাবা রফিকুল ইসলাম রোববার সকালে সদর থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
গ্রেফতার আসামিরা হলো, বগুড়া শহরের খান্দার নতুনপাড়ার আবুল কালামের ছেলে রেজাউল ইসলাম রিয়াদ (২৪), মালগ্রাম দক্ষিণপাড়ার ওয়াদুদ সরকারের ছেলে ওয়াহেদ ফারুকী মেঘ (১৯) ও একই এলাকার মো: ইদ্রিসের ছেলে মো: সজিব (২৫)। পলাতক আসামী খান্দার চারতলা এলাকার মৃত সামাদ হোসেনের ছেলে সোহেল রানা (২৬)।
সদর থানার এসআই সোহেল রানা জানান, ‘বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার দামরুল গ্রামের রকিফুল ইসলামের ছেলে সাকিবুল ইসলাম শহরের মফিজ পাগলার মোড় এলাকায় বিআইআইটি নামে এক ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টেক্সটাইল বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষে পড়েন। সেউজগাড়ি এলাকার মেসে থেকে প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করেন। সাকিবুল গত ২৬ জানুয়ারি সকালে সেউজগাড়ির মেস থেকে বিআইআইটি প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে যান। পরীক্ষা শেষে মেসের দিকে রওনা হন। বেলা দেড়টার দিকে খান্দার তিনমাথা এলাকায় পৌঁছলে ৪ আসামি তাকে ধারালো অস্ত্রের মুখে রিকশা তুলে নিয়ে যায়। এরপর মোবাইল ফোনে তার বাবা রফিকুল ইসলামের কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অন্যথায় সাকিবুলকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল। ছেলেকে বাঁচাতে রফিকুল ইসলাম বিকাশের মাধ্যমে আসামিদের পাঁচ হাজার ১০০ টাকা দেন। অবশিষ্ট টাকা রাতে খান্দার এলাকায় দেবার কথা বলা হয়। রফিকুল ইসলাম বিষয়টি সদর থানায় অবহিত করেন।
শনিবার রাত ১০টার দিকে আসামি ওয়াহেদ ফারুকী মেঘ টাকা নিতে খান্দার এলাকায় আসে। এ সময় তাকে কৌশলে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে অন্য আসামি ও অপহৃত সাকিবুলের সন্ধান দেয়। এরপর একই এলাকা থেকে আসামি রিয়াদ ও সজিবকে গ্রেফতার এবং তাদের হেফাজত থেকে ভুক্তভোগী সাকিবুলকে উদ্ধার করা হয়। অপর আসামী সোহেল রানা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ ব্যাপারে সাকিবুলের বাবা রোববার সকালে সদর থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, গ্রেফতার আসামিরা অপহরণ চক্রের সদস্য। এরা অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে থাকে। পলাতক আসামী সোহেল রানাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।