গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ক্লাস চলাকালীন সহপাঠীর সঙ্গে “কথা বলার অপরাধে” মারধরের শিকার ছাত্রী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে।
রবিবার (৯ জুলাই) দুপুরে উপজেলার ভাটিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্রীর বাবা জানান, স্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষক মামুনুর রহমানের ক্লাসে তার মেয়ে সহপাঠীর সঙ্গে কথা বলছিল। এতে ওই শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে তার মেয়ের চুলের মুঠি ধরে শ্রেণিকক্ষের দেয়ালে আঘাত করেন। মারধরের একপর্যায়ে তার মেয়ে জ্ঞান হারায়। পরে ষষ্ঠ শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী ও দুই শিক্ষকের সহায়তা তার মেয়েকে ভ্যানে করে বাড়িতে পাঠানো হয়।
বাড়িতে ফেরার পর ভুক্তভোগী ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার অবণতি হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সোমবার প্রধান শিক্ষকের অনুরোধে তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মামুনুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “ওই ছাত্রী ক্লাসে অমনোযোগী ছিল। এ কারণে মামুনুর রহমান তাকে চড় মেরেছিলেন।”
স্থানীয় দ্বন্দ্বের জেরে ঘটনাটিকে ভিন্নখানে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। আজ তারা হাসপাতাল থেকে ওই ছাত্রীকে বাড়িতে নিয়ে এসেছে।”
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজা বেগম বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”