ঝিনাইদহে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সহায়তায় নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ পাঁচ দিন পর রবিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে তার শিশুকে ফিরে পেয়েছেন। ইউএনবির একই প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
এর আগে শনিবার নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে এমন সংবাদ পেয়ে সংস্থার জেলা মুখপাত্র আমিনুর রহমান টুকু দুজন কর্মীকে নিয়ে দেখতে যান।
সেখানে নির্যাতিতা ঐ গৃহবধূ জানান, বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তার স্বামী মো. রবিউল ইসলাম প্রায়ই তাকে মারধর করতো। ঘটনার দিন ২৩ জানুয়ারি রাতে যৌতুকের দাবিতে তার স্বামী তাকে বেদম মারধর করেন। ভয়ে তার ৫ বছরের ছেলে ও ৫ মাসের কন্যা সন্তান রেখে ওই রাতেই বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি হন ঐ গৃহবধূ। রবিউল তার কোনো খোঁজ নেয়নি, উল্টো তার শিশুকন্যা ফাতেমাকে আটকে রাখে।
রবিবার সকালে মানবাধিকার কর্মী টুকু সংস্থার কয়েকজন কর্মীকে নিয়ে হরিনাকুন্ডু উপজেলার বেড়বিন্নি গ্রামে রবিউলের বাড়ি যান এবং শিশু দুইটিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে পাড়া-প্রতিবেশী ও পরিবারের লোকজনের সাথে বৈঠক করেন। এর প্রেক্ষিতে নির্যাতিতা গৃহবধূর বোন নিলুফা ইয়াসমিন ও ভাই শাহরিয়ারের কাছে শিশু ফাতেমাকে তুলে দিতে বাধ্য হয় রবিউল।
পরে শিশু ফাতেমাকে তার মায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।