Sunday, March 16, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

ডিজি: যতই নিষেধাজ্ঞা আসুক, র‍্যাব কারও রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না

র‍্যাবপ্রধান বলেন, মাদক ও জঙ্গিবাদ দমনে কাজ করছে র‌্যাব। এতে কোনো ছাড় নেই। তারপরও মাদকের সঙ্গে পারছি না। কারণ মাদক এখন সব শ্রেণির মানুষ খাচ্ছে। আমাদের বাহিনীর অনেক সদস্যরাও মাদক নেন

আপডেট : ২১ জুলাই ২০২৩, ০৪:০৮ পিএম

র‍্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, “সাতটি সংগঠন নিয়ে কাজ করছি। আমাদের ওপর যতই স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) আসুক, ষড়যন্ত্র হোক না কেন, কারও রক্তচক্ষু ভয় পাই না। যেকোনো জায়গায় যেকোনো লোকের গায়ে হাত দেওয়া র‍্যাবের জন্য কোনো বিষয় না- এটা প্রমাণিত সত্য।”

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকেলে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়ায় র‍্যাব আয়োজিত মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

র‍্যাবপ্রধান বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলিট ফোর্সকে যে দুটি দায়িত্ব দিয়েছেন তা হলো- মাদক ও জঙ্গিবাদ দমন। দুইটি বিষয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। এতে কোনো ছাড় নেই। তারপরও মাদকের সঙ্গে আমরা পারছি না। কারণ মাদক এখন সব শ্রেণির মানুষ খাচ্ছে, আবার ব্যবসা করছে। আমাদের বাহিনীর অনেক সদস্যরাও মাদক নেন। যে কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি, তাদের চাকরিচ্যুত করেছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।”

রএম খুরশীদ হোসেন বলেন, “প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনা করেছে র‍্যাব। জড়িতদের আইনের আওতায় এনে অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছি। জনসাধারণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।”

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়ায় পৌঁছে র‍্যাব-৬-এর ক্যাম্প উদ্বোধন করেন এম খুরশীদ হোসেন। উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দপ্তরের ফরেন অ্যাসেটস কনট্রোল অফিস বিভিন্ন দেশের মোট ১০ প্রতিষ্ঠান ও ১৫ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।

এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় র‍্যাব ও এর ছয় কর্মকর্তার নাম আসে। এছাড়া আলাদা আরেক বিজ্ঞপ্তিতে সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজির আহমেদ এবং র‍্যাব-৭ এর সাবেক কমান্ডার মিফতাহ উদ্দিন আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্র ২০২১ সালে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তার আওতায় র‍্যাবের যে কর্মকর্তারা ছিলেন, তাদের কেউই এখন আর বাহিনীটিতে কর্মরত নেই। তাদের অনেকেই বিভিন্ন সামরিক বাহিনীতে উচ্চপদে রয়েছেন কিংবা অবসরে গেছেন।

এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশ সরকার বারবার তাগিদ দিয়ে আসছে। এমনকি ভারতীয় সহায়তা নেওয়ার বিষয়টিও একসময় জানানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়নি।

   

About

Popular Links

x