শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাতিল করা গ্রীষ্মকালীন ছুটি সমন্বয়ের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। সোমবার (২৪ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়।
গত ১৯ জুলাই এক নির্দেশনায় মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করে আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যেখানে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা সম্পন্ন করতে বলা হয়।
তবে নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল এবং ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব শিখন ও মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পন্নকরণ ও বাতিলকৃত গ্রীষ্মকালীন ছুটি শীতকালীন ছুটির সঙ্গে সমন্বয়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফলে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চলমান নতুন শিক্ষাক্রমের কার্যক্রম বিদ্যমান কর্মদিবসের সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করা হলো।
চিঠিতে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) থেকে প্রাপ্ত ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চলমান নতুন শিক্ষাক্রমের কার্যক্রম বিদ্যমান কর্মদিবসের সঙ্গে সমন্বয় সংক্রান্ত বিষয়গুলো যথাযথ প্রতিপালনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
নির্দেশনা
১) নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী সব বিষয়ের জন্য নির্ধারিত সব শিখন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন করতে হবে। কোনো শিখন অভিজ্ঞতা কোনোভাবেই অসম্পূর্ণ রাখা যাবে না।
২) ১০ নভেম্বরের মধ্যে সব শিখন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন করে ১১ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন সম্পন্ন করতে হবে।
৩) বিদ্যমান কর্মদিবসের মধ্যে কীভাবে ষাম্মাসিক মূল্যায়নের পরবর্তী শিখন অভিজ্ঞতাগুলো সম্পন্ন করা যেতে পারে, সে সম্পর্কিত একটি বিষয়ভিত্তিক নির্দেশনা বা গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে, যা সব শিক্ষককে অনুসরণ করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। (এনসিটিবি থেকে প্রাপ্ত বিষয়ভিত্তিক নির্দেশনা বা গাইডলাইন ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে)।
৪) ২৩ জুলাই থেকে নতুন গাইডলাইন অনুসরণ করে সব প্রতিষ্ঠানে শিখন-শেখানো কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৫) গাইডলাইন অনুসরণ সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন থাকলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের মাস্টার ট্রেইনার, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রশিক্ষকদের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যেতে পারে।
৬) এই নির্দেশনা শুধুমাত্র ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্যই প্রযোজ্য। আগামী ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষক সহায়িকা অনুসরণ করে যথানিয়মে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।