গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় ট্রাকচাপায় সাংবাদিক মঞ্জুর হোসেন ওরফে মিলন (৫৮) নিহতের ঘটনায় চালক আহাদ মিয়াকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার (৭ আগস্ট) সকালে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজধানীর কাওরানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
নিহত মঞ্জুর হোসেন মিলন স্থানীয় পত্রিকা “গাজীপুর দর্পণ”-এর সম্পাদক ছিলেন। ৪ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে তিনি শহর থেকে বাড়ির উদ্দেশে মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা দেন। কাপাসিয়া-ভাকুয়াদি সড়কের কোটবাজালিয়া এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি ট্রাক তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
নিহতের ভাই কামাল ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “আমার ভাই মোটরসাইকেল থামিয়ে ট্রাকচালককে ধমক দিয়েছিলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক হয়। একপর্যায়ে তার ওপর দিয়ে ট্রাক চালিয়ে দেওয়া হয়।”
তিনি আরও বলেন, “৪ আগস্ট আমি কাপাসিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করি। ৫ আগস্ট রাত ১২টার দিকে থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ও কয়েকজন সাংবাদিক মিলে অভিযোগ পরিবর্তন করেন। ওইদিন রাত ১টার দিকে আমার ভাবিকে বাদী বানিয়ে হত্যা মামলার অভিযোগ না নিয়ে অজ্ঞাত আসামি দিয়ে সড়ক পরিবহন আইনে মামলা নেওয়া হয়।”
নিহত মনজুর হোসেন মিলনের স্ত্রীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার সন্তান বলে, “মা আমাকে রেখে বাইরে কাজে গেছে। আমার পাশে এখন কেউ নেই। মা বিকেলে চলে আসবে।”
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার চালক আহাদ ৪ আগস্ট সকালে বালুভর্তি ড্রাম ট্রাক নিয়ে কাপাসিয়া থেকে চাঁদপুর যাচ্ছিলেন। ট্রাকটিতে অতিরিক্ত ওজনের বালু বোঝাই থাকা সত্ত্বেও তিনি তাড়াতাড়ি পৌঁছানের জন্য বেপরোয়া গতিতে চালাতে থাকেন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, “চালক আহাদ গত সাত বছর ধরে মাহিন্দ্রা, পিকআপসহ বিভিন্ন গাড়ি চালিয়ে আসছেন। তার মাঝারি যানবাহন চালানোর লাইসেন্স থাকলেও তিনি ভারি যানবাহন চালাচ্ছিলেন। এছাড়াও ট্রাকটির ধারণক্ষমতা ছিল আট টন। কিন্তু ট্রাকটিতে ১৪ টন বালুবোঝাই করা হয়েছিল।”
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম লুৎফুল কবির বলেন, “ড্রাম ট্রাকটি অতিরিক্ত বালুবোঝাই করে বেপরোয়া গতিতে চলছিল।”