ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কার, পরিমার্জন ও আধুনিকরণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (৭ আগস্ট) ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়ে সরকারের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতিকে যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানায়। সমালোচনাকারীদের আটক, গ্রেপ্তার এবং তাদের মুখ বন্ধে আইনটি ব্যবহার করা হচ্ছিল।”
সোমবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কার করে নতুন “সাইবার নিরাপত্তা আইন” করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পরে আইনমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আধুনিকীকরণের পাশাপাশি এর অপব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একইসঙ্গে এই আইনের সংস্কার করে এর নাম বদলে “সাইবার নিরাপত্তা আইন” করতে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, “আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন অনুচ্ছেদের সংস্কার করছি। মূলত শাস্তির পরিমাণ কমিয়েছি, অর্থাৎ মানহানির ক্ষেত্রে ফৌজদারি শাস্তির বিধান রদ করেছি। এটাই মূল বিষয়।”
নতুন যে আইনটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার তা যেন আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করে, সেই আহ্বানও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ম্যাথু মিলার বলেন, “অংশীজনরা যেন ওই আইনের খসড়া পর্যালোচনা করতে পারেন এবং মতামত দিতে পারেন, সেই সুযোগ রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন তারা।”