গত এক সপ্তাহ ধরে টানা ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বন্যার কবলে পড়ে কক্সবাজার। বন্যায় এখন পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী, বন্যায় জেলার ৬০টি ইউনিয়নে ৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রাথমিক ক্ষতির পরিমাণ ১ কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ ৯ লাখ টাকা ও ৮৩ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ) বিভীষণ কান্তি দাশ সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।
নিহতদের মধ্যে ১২ ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে ছয়জনের মৃত্যুর কথা জানতে পারে প্রশাসন। এর মধ্যে বুধবার রাতে চকরিয়ায় “বন্যার পানিতে ব্যবহার অনুপযোগী” হয়ে পড়া সেপ্টিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে বিষক্রিয়ায় দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়। তারা হলেন- উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দারকাটা এলাকার শাহাদাত হোসেন (৫০) ও শহীদুল ইসলাম (২২)।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সকালে পেকুয়া ও চকরিয়া থেকে তিন শিশু ও অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশুরা হলো- উজানটিয়া ইউনিয়নের নুরুল আলমের মেয়ে তাহিদা বেগম (১০) ও আমির হোসেন (৫) এবং একই এলাকার সাবের আহমদের মেয়ে হুমায়রা বেগম (৮)।
বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করেছে। তবে এখনো জেলার বেশ কিছু জায়গা পানিতে তলিয়ে আছে। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ান জানান, বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও এখনো নিম্নাঞ্চলের বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন বন্যার পানিতে তলিয়ে রয়েছে।