খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের সামনে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। প্রতিবাদে খুমেক হাসপাতালের শিক্ষানবিশ (ইন্টার্ন) চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
সোমবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে খুমেক হাসপাতালের সামনে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সংগঠনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম অন্তর ও সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুজ্জোহা সজীব বলেন, “নিরাপত্তার দাবিতে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সন্ধ্যার দিকে খুমেকের কয়েকজন শিক্ষার্থী হাসপাতালের সামনের দোকানে ওষুধ কিনতে যান। তারা ওষুধে ১০% ছাড় চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে ব্যবসায়ীরা জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। এ খবর মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে পৌঁছালে খুমেক শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ওষুধ ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা চালান। কিছুক্ষণ পর পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “ওষুধ কেনা নিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ব্যবসায়ীরা শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। বিষয়টি জানতে পেরে আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। এ ঘটনার বিচার ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সময়সীমা বেধে দিয়েছে।”
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (সাউথ) শেখ ইমরান বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলাকারীদের আটক করার চেষ্টা চলছে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ওষুধের দোকানের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”