খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- খুমেক হাসপাতাল এলাকায় বিপ্লব ফার্মেসির মালিক এস এম মাহমুদর রহমান বিপ্লব (৩০) ও আবিদ ফার্মেসির কর্মচারী মীর বায়জিদ (২০)।
বুধবার (১৬ আগস্ট) রাত ৩টার দিকে খুলনার বয়রা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তারর করা হয়। এর আগে বুধবার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা করা হয়।
এই মামলার তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাহিদ হাসান মৃধা। তিনি ঢাকা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে খুমেকের কয়েকজন শিক্ষার্থী হাসপাতালের সামনের দোকানে ওষুধ কিনতে যান। তারা ওষুধে ১০% ছাড় চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে ব্যবসায়ীরা জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। এ খবর মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে পৌঁছালে খুমেক শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ওষুধ ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা চালান। কিছুক্ষণ পর পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১৬ জন আহত হন।
এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা জানান, ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরবেন না। শিক্ষানবিশ (ইন্টার্ন) চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করেন।
হাসপাতালের চিকিৎসক জ্যোতির্ময় বৈরাগী বলেন, “আমাদের ওপর যারা হামলা করেছে, তারা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি চলবে।”
অন্যদিকে ওষুধ ব্যবসায়ীরা, ফার্মেসি বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন। তাদের অভিযোগ, এক শিক্ষার্থী ওষুধে ১০% কমিশন চেয়েছিলেন। চাহিদা অনুযায়ী কমিশন না পাওয়ায় দুইজনের মধ্যে তর্ক হয়। খবর পেয়ে অন্য শিক্ষার্থীরা এসে দোকানে ভাঙচুর করেন। এরই জেরে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলার পর থেকেই দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন তারা।
ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, “হামলায় ৯ জন ব্যবসায়ী আহত হন। শিক্ষর্থীরা একটি দোকানের ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। অন্যান্য দোকানের শাটার ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।”
খুমেক হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ মেহেদী নেওয়াজ বলেন, “হামলার পর থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আছি আমরা। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা করিয়েছি। থানায় মামলা করার জন্য তাদের সঙ্গে ছিলাম। পরবর্তী সময় এই শিক্ষার্থীরা যেভাবে চাইবে সেভাবে তাদের সঙ্গে থাকবো।”