Tuesday, May 20, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

হাঁসের খামারে দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন তারা

চাহিদার কথা মাথায় রেখে হাঁস চাষে ঝুঁকছেন খামারিরা

আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০২৩, ১১:০২ এএম

“এগুলো শুধু হাঁসের ছানা নয়,  আমার সন্তান।এরাই আমার ভাগ্য উন্নয়নের স্বপ্নসিঁড়ি”, এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন খুলনার ডুমুরিয়ার শিবপুর বাদুরগাছার একটি হাঁস খামারের ব্যবস্থাপক  পিন্টু সরকার।

খামারটির মালিক আজমত ইকবাল সজল। তার ৪২ বিঘা জমিতে এক বছর আগে ১,২০০ হাঁস নিয়ে এ খামারটির যাত্রা শুরু হয়। শুরু থেকেই হাঁসগুলোর দেখাশোনা করছেন পিন্টু সরকার। বর্তমানে খামারটিতে ৩ হাজার হাঁস রয়েছে।

পিন্টু সরকার বলেন, “ডুমুরিয়ায় হাঁস চাষ করে অনেকেই লাভবান হচ্ছেন।প্রতিবছর এ উপজেলায় কয়েক লাখ হাঁস পালন হচ্ছে। এর  মাধ্যমে মাংস ও পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে অনেকে।”

এই অঞ্চলে হাঁসের মাংসের চাহিদাও ব্যাপক। এ চাহিদার কথা মাথায় রেখে হাঁস চাষে ঝুঁকছেন খামারিরা।  

ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর, কৈয়া বাজারসহ বিভিন্ন সাপ্তাহিক হাট-বাজারে হাঁসের মাংস কেটে ৫০০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। এছাড়া প্রতি পিস হাঁস ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হয়।

শোভনা ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের হাঁস খামারি সুমন্ত পাল বলেন, “আমরা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে হাঁসের চাষ করছি। হাঁসের বাচ্চা ও খাদ্য সামগ্রীর মূল্য অধিক হওয়ায় উৎপাদন খরচ বেশি। তাই বর্তমানে আশানুরুপ লাভ হচ্ছে না। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর যদি আর্থিক ও ঔষধ সহায়তা প্রদান করে তাহলে খামারিরা আরও বেশি লাভবান হতে পারবে।”

ডুমুরিয়া হাটে হাঁসের মাংস বিক্রি করেন গোনালী গ্রামের কার্তিক রায়। তিনি বলেন, “দেড় কেজি ওজনের একটি হাঁস ৫০০ টাকায় ক্রয় করি। এরপর তা জবাই করে কেটে বিক্রি করে যা লাভ হয়, তা খুবই সামান্য।”

ডুমুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ভেটেরিনারি সার্জন পিয়াংকা কুন্ডু বলেন, “এ উপজেলায় প্রতিবছর চাহিদা অনুযায়ী হাঁস উৎপাদন হয়ে আসছে। হাঁস পালন প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোনো হাঁস খামারি সমস্যার কথা জানালে তাৎক্ষণিক খামার পরিদর্শন করে ওষুধ সহায়তার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছি।”

ডুমুরিয়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মো. আশরাফুল কবির বলেন, “ডুমুরিয়া উপজেলায় হাঁসের অনেক খামার থাকলেও কোনো খামারের নিবন্ধন নেই। নিবন্ধন করার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করা ও সচেতনতা তৈরিতে কাজ চলছে।”

তিনি আরও বলেন, “উদ্যোক্তাদের জন্য প্রাণীসম্পদ বিভাগ সহযোগিতা করতে সব সময় প্রস্তুত। আমাদের অফিসের মাধ্যমে কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করা এবং হাঁসের টিকা প্রদানের পরামর্শ ফ্রি। এছাড়াও হাঁস খামারিদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনাসহ কারিগরি প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা এ দপ্তরে রয়েছে।”

   

About

Popular Links

x