ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভুমিষ্ট হওয়ার আগে নবজাতক বিক্রির চুক্তির অভিযোগে এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চুক্তি অনুযায়ী জন্মগ্রহণের ২ দিন পর নবজাতককে নিতে এলে সোনিয়া (২৮) নামের ঐ নারীকে আটক করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করেন ঢামেক আনসার সদস্যরা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোঃ বাচ্চু মিয়া জানান, গত ২৯ জানুয়ারি ঢামেক হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন জোসনা বেগম নামে এক নারী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জোসনা বেগম যখন ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা তখন কমলাপুর স্টেশনে আটক সোনিয়ার সাথে পরিচয় হয় তার। সে সময় সোনিয়া নবজাতক ক্রয়ের জন্য ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলেন। পরে সোনিয়া তাকে শারীরিক চিকিৎসার জন্য ৩ হাজার টাকাও দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।
এদিকে, আটক সোনিয়া বলেন, “জোসনা এক সময় আমার বাসায় কাজ করতো। তার চিকিৎসার জন্য ৩ হাজার টাকাও দিয়েছি। তবে, সন্তান জন্ম দেওয়ার পর জোসনা তাকে সন্তান বিক্রি করবেন বলে জানায়”। এসময় জোসনা তাকে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেছিলেন বলেও দাবি করেন সোনিয়া। সোনিয়া আরো দাবি করেন প্রথমে না চাইলেও আজ তাকে আসতে বলেছিলেন জোসনা।
তবে, ঢামেকে হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ওর্য়াডে জোসনার স্বামী টুকু মিয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আটক হন সোনিয়া।