চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সহিংস হামলায় কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছেন চবি প্রক্টর নুরুল আজিম সিকদার।
হামলার পেছনে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রকেও দায়ী করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে শাটল ট্রেন একটি গাছের সাথে ধাক্কা লেগে চবি শিক্ষার্থীসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস পুলিশ ফাঁড়ি, দোকানপাট, চেয়ার-টেবিলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ভাংচুর করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টের সামনে টায়ারে আগুন দেয়।
একপর্যায়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাংলোতেও চলে যায়। সেখানেও সহিংসতা চালায়। এতে ক্যাম্পাসে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাংচুর করে।
প্রক্টর নুরুল আজিম সিকদার হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, “ভাইস চ্যান্সেলরের বাসভবনে হামলা খুবই লজ্জাজনক। কোটি টাকার পরিবহন সম্পদ ভাংচুর করা হয়েছে। তারা শিক্ষক ক্লাবে হামলা চালিয়েছে। রেলওয়ে কোচে আগুন দিয়েছে, পুলিশ। বাক্স ভাংচুর করা হয়েছে।”
এ ধরনের কাজ সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব নয়, এখানে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির এজেন্ডা ছিল বলে তিনি দাবি করেন।
প্রক্টর আরও বলেছেন, “যারা আহত হয়েছেন তাদের জন্য আমরা দুঃখিত, মর্মাহত। এটি একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা। শিক্ষার্থীরা যাতে ছাদে যাতায়াত করতে না পারে সেজন্য আমরা অল্প সময়ের মধ্যে রেলওয়ে কোচের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেব।”