ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মো. শিহাব উদ্দিন (৩০) নামে এক মাদ্রাসাশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মায়ের মামলার শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত শিহাব উদ্দিন হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বাসিন্দা। তিনি নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের শ্যামপুর জামিয়া ইসলামিয়া তালিমুন্নেছা মদিনাতুল উলুম মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মাদ্রাসাশিক্ষক শিহাব উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় এক সপ্তাহ আগে মাদ্রাসার কক্ষে নিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন ওই শিক্ষক। ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
শুক্রবার রাতে নাসিরনগর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে শিহাবকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন ওই শিক্ষার্থীর মা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা সাংবাদিকদের বলেন, “মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার পর থেকে আমার মেয়েকে খারাপ প্রস্তাব দিতো ওই হুজুর। সে প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমার মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহাগ রানা সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা ১৬১ ধারায় পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে মাদ্রাসাশিক্ষক। শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। তাকে আদালতের মাধ্যমে শনিবার দুপুরে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”