রাজধানীর সড়কে গণপরিবহন এবং অন্যান্য যানবাহনের উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় তুলনামূলকভাবে কম। কারণ দুটি বড় রাজনৈতিক দলের ঘোষিত কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তেজনা বেড়েছে। এতে যাতায়াতের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।
দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য গণপরিবহনে নির্ভরশীল মানুষরা রাস্তায় স্বল্প যানবাহনের কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
রাজধানীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নির্ধারিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বেশির ভাগই জরুরি কাজ না থাকলে বাড়িতে থাকাকেই উত্তম মনে করছেন।
দিনটি সরকারি ছুটির দিন হলেও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যারা কাজ করেন, তাদের যাতায়াতে চরম সমস্যা হচ্ছে। রাস্তায় প্রাইভেটকার, রিকশাসহ অন্যান্য যানবাহনের সংখ্যাও খুব কম।
শনির আখড়া, কাকরাইল, শান্তিনগর, মৌচাক, ধোলাইপাড়, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, গুলিস্তান, পুরানা পল্টন ও জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় গণপরিবহনের সংখ্যা কম দেখা গেছে। অনেককে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। গুলিস্তান থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) আবু সালেহ মো. রায়হান বলেন, “অন্যান্য দিনের তুলনায় পাবলিক বাসসহ যানবাহনের সংখ্যা কম।”
শেওড়াপাড়া থেকে মৌচাকে কর্মস্থলে যাতায়াতকারী মারিফুল হাসান বলেন, “আমি শেওড়াপাড়া থেকে একটি বাসে উঠেছিলাম। সেটি আমাকে বিজয় সরণিতে নামিয়ে দেয়। ওই সময় গণপরিবহন না পেয়ে আমি ফার্মগেটে হেঁটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। পরে মৌচাকের বাসে উঠতে সক্ষম হই।”
মারিফুলের মতো একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করা রাহুলও জানান, কেরাণীগঞ্জ থেকে তার অফিসে যেতে তাকে দু’বার পরিবহন পরিবর্তন করতে হয়েছে। গণপরিবহন না থাকায় তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে ঢাকায় তার অফিসে যান।
পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেশ কয়েকটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সমাবেশ চলাকালে সম্ভাব্য সহিংসতা এড়াতে রাজধানীতে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাজার হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তাদের নিজ নিজ স্থানে সমাবেশ করার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি পেয়েছে। তবে জামায়াত তাদের কর্মসূচির জন্য ডিএমপির কাছ থেকে কোনো অনুমতি পায়নি।