সাত জেলার পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম। বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুদকের ৭টি টিম এ অভিযান চালায়।
এ সময় মেহেরপুর, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা ও দিনাজপুরে চার জন দালালকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জরিমানা ও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানের সময় মুন্সিগঞ্জে সহকারী পরিচালক হালিমা খাতুনের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ধরা পড়ে। এছাড়া সাধারণ পাসপোর্টের ক্ষেত্রে মূল ফি’র অতিরিক্ত ১৫ শ’ টাকা এবং জরুরি পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে ৪ হাজার টাকা অতিরিক্ত ফি আদায়েরও প্রমাণ মেলে।
সিলেট পাসপোর্ট অফিসে অভিযানে দেখা যায়, বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশ করে দালাল চক্র সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে।
টাঙ্গাইল পাসপোর্ট অফিসে দালালদের গ্রাহকদের কাছ থেকে ঘুষ আদায়ের চিত্র উঠে আসে।
বরিশাল পাসপোর্ট অফিসে পুলিশ সদস্যরা দালাল সেজে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে বলে প্রমাণ পায় দুদক টিম।
এছাড়া কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসে ৪ জন কর্মকর্তাকে অনুপস্থিত পায় দুদক টিম।
এ ব্যাপারে দুদক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী জানান, ‘পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতি ও হয়রানির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’