সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা চলমান অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে কমলাপুরে বেড়েছে যাত্রীর চাপ। দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রেনেই ভরসা করছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে আন্তঃনগর প্ল্যাটফর্মে যাত্রী চাপ দেখা গেছে।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) সরজমিনে কমলাপুর স্টেশনের টিকেট কাউন্টার ও প্ল্যাটফর্ম ঘুরে দেখা যায়, টিকেট কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। ঝামেলা ও ভিড় এড়াতে অনেকেই অনলাইনে টিকেট কেটে এসেছেন। টিকেট না পেয়ে অনেকে পরের ট্রেনের টিকেটের জন্য অপেক্ষা করছেন।
টিকেট কাউন্টারে দায়িত্বরতরা জানান, যাত্রী চাপ বাড়ায় সিটিং এবং স্ট্যান্ডবাইয়ে ২৫% টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। ফলে অনেক যাত্রীকে টিকেট দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যারা টিকেট পাননি তাদের পরবর্তী ট্রেনের টিকেটের জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।
এদিকে এক ঘণ্টা আগে এসেও নরসিংদীর টিকেট কাটতে পারেননি মোসাদ্দেক হাজী নামে এক যাত্রী। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে এখন পরবর্তী ট্রেনের অপেক্ষায় টিকেট কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।
দৌড়াদৌড়ি করেও কোনো টিকেট পাননি ফাহমিদা ও আবু হোসেন দম্পতি। আবু হোসেন বলেন, “মহাখালীতে বাস না পেয়ে এখানে এসেছি। এখানে এসে শুনি টিকেট শেষ। ছোট দুইটা বাচ্চা নিয়ে এই শীতের সময় কীভাবে এতদূর যাবো। রাতে বাসে যাওয়াও তো ঝুঁকির ব্যাপার।”
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন জানান, সোমবার সকাল থেকেই যাত্রীর চাপ বেশি। বাসের যাত্রীরাও ট্রেন ধরতে এসেছেন। সিটিংয়ের সব টিকেট ১২টার মধ্যেই শেষ। ২৫% স্ট্যান্ডিং টিকেটও শেষ।
তিনি বলেন, “আমাদের আন্তঃজেলায় ৭৪টি ট্রেন, কমিউটার ট্রেন ১৬টি ও মেইল ট্রেন ১১টি চলাচল করছে। কোনো প্রকার শিডিউল বিপর্যয় নেই। যাত্রী চলাচলও স্বাভাবিক। অবরোধের কারণে যাত্রী নিরাপত্তায় কোনো বিঘ্ন ঘটেনি।”