বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় “মিধিলি”র কারণে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও টেকনাফে দুই দিন আটকে পড়া ৭০০ পর্যটক ফিরে এসেছেন।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন দ্বীপ নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হলে তারা ফিরে আসেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী এ তথ্য জানান।
সতর্কসংকেত কেটে যাওয়ায় ফের জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, “শনিবার সকাল থেকে আবার জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। টেকনাফ থেকে বার আউলিয়া ও কেয়ারি সিন্দবাদ জাহাজ সেন্টমার্টিনে গিয়ে দ্বীপে থেকে যাওয়া পর্যটকদের নিয়ে আসে। তবে যাওয়ার সময় বার আউলিয়া জাহাজে কোনো যাত্রী না থাকলেও কেয়ারি সিন্দবাদে করে ৬০ পর্যটক সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যায়।”
তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে দুটি জাহাজে প্রায় ৭০০ পর্যটককে দ্বীপ থেকে ফেরত আনা হয়েছে। তারা ঘাটে ফিরে যে যার মতো রওনা দিচ্ছেন।”
মো. আদনান চৌধুরী জানান, “বৈরী আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় এ রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। এতে দ্বীপে থাকা পর্যটকরা ফিরেছে।”
জানতে চাইলে পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনের টেকনাফের ব্যবস্থাপক শাহ আলম বলেন, “আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় আবারও জাহাজগুলোর চলাচল শুরু হয়েছে। ফেরার সময় দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকরা ফিরে এসেছেন।”
এর আগে, ঝড়ের প্রভাবে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়। এর ফলে গত মঙ্গল ও বুধবার বেড়াতে আসা চার শতাধিক পর্যটক সেন্ট মার্টিন দ্বীপে আটকা পড়েন। শুক্রবার দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় এসব পর্যটক সেন্ট মার্টিনের হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টে বন্দী হয়ে পড়েন।