নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, “বিদেশিরা কখনোই আমাদের চাপ দেয়নি। এ ধরনের চাপ দেওয়ার রাইট কারও নেই। বরং শান্তিপূর্ণ, অবাধ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন অন্য সবাইকে চাপ দিয়ে বেড়াচ্ছে।”
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি আলমগীর বলেন, “গতকাল পর্যন্ত ৮২ জন বিদেশি পর্যবেক্ষকের তালিকা পেয়েছি। ৪৬ জন বিদেশি সাংবাদিক আসবেন। নির্বাচনের একটি নীতিমালা রয়েছে। সে নীতিমালা সব সাংবাদিককে অনুসরণ করতে হবে।”
নির্বাচনে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “অতীতের মতো সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেটের নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। অতীতের জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল। এবার সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা বেশি। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।”
বিএনপি নির্বাচনে আসার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের যে পর্যন্ত সুযোগ ছিল তা বলেছি। এ মুহূর্তে কোনো সুযোগ আইন অনুযায়ী দেখছি না। তারপরেও কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাইলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হবে। আমরা যা কিছু করি না কেন, তা সংবিধানের আলোকে করতে হবে।”
ইউএনও এবং ওসিদের বদলির ব্যাপারে তিনি বলেন, “বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা আমাদের সঙ্গে সংলাপ করেছেন। সেখানে তাদের অভিযোগ ছিল সরকার প্রশাসনকে সাজিয়ে-গুছিয়ে তাদের মতো করে নিয়েছে। সরকারের অনুকূলে তারা কাজ করেন। এ অবস্থায় প্রশাসনে পরিবর্তন করতে হবে বলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভিমত ছিল।”
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার কায়ছারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুল্লাহ আল নোমান