নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশির হাট বাজারের নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিপুল স্বর্ণ লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ভোরের দিকে উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে এ ডাকাতি ও হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত নৈশপ্রহরী শহীদ উল্লাহ (৫০) ধানশালিক ইউনিয়নের চর গুল্লাখালী গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে।
জানা গেছে, শুক্রবার ভোর রাতের দিকে ১০ থেকে ১৫ জনের একটি ডাকাত দল পিকআপ ভ্যান নিয়ে ওই বাজারে যায়। এ সময় তারা তিন প্রহরীকে বেঁধে ফেলে এবং তাদের মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে দেয়। শহীদ উল্লাহ বাধা দিলে তাকেও মারধর করে ডাকাতরা। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাতরা মা-মণি জুয়েলার্সের সিন্দুক ভেঙে ১৫০ থেকে ১৮০ ভরি সোনা লুট করে নিয়ে যায়। যার মূল্য প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা। এরপর পাশের নূর জুয়েলার্স থেকে আরও তিন ভরি স্বর্ণ লুট করে পালিয়ে যায়।
তবে ডাকাতরা দোকান দুটি থেকে আরও বেশি স্বর্ণ লুট করেছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মা-মণি জুয়েলার্সের মালিক মিন্টু চন্দ্র নাথ বলেন, “ডাকাতরা নূর জুয়েলার্স, মা-মণি জুয়েলার্সে গ্রিল কেটে ডাকাতি করে। মা-মণি জুয়েলার্সের স্বর্ণের লকার কেটে ২৫০ ভরি স্বর্ণ, ১৫০ ভরি রুপা ও নগদ আড়াই লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।”
মেসার্স নূর জুয়েলার্সের মালিক নুর আলম জানান, নূর জুয়েলার্স থেকে সাত ভরি স্বর্ণ, ২৫০ ভরি রুপা লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা।
স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফ হোসেন রবেন্স বলেন, “ডাকাতদের প্রতিহত করতে চেষ্টা করেন নৈশ প্রহরী শহীদ উল্লাহ। ডাকাত দল তার মাথায় আঘাত করলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।”
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”