প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) করা আপিলে চতুর্থ দিনে ৪৬ জন ভোটে লড়াইয়ের বৈধতা পেয়েছেন; আপিল নামঞ্জুর হয়েছে ৫০টি আর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রাখা হয়েছে ৩ জন প্রার্থীর মনোনয়ন।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে আপিল শুনানির কার্যক্রম শুরু হয়। এদিন ৩০১ থেকে ৪০০ নম্বর আপিলের শুনানি হয়। প্রার্থীদের বক্তব্য শুনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা রায় দেন।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। এবার ৩০০ সংসদীয় আসনে ২,৭১৬টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। বাছাইয়ে ৭৩১টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে মোট ৫৫৮টি আপিল হয়েছে। গত ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় আপিল শুনানি; এ কার্যক্রম চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
৫৬১টি আপিল আবেদনের বিপরীতে চারদিনে ২১৪ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। শুনানি শুরুর প্রথম দিন ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পান, ৩২ জনের নামঞ্জুর এবং ৬টির সিদ্ধান্ত হয়নি। দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পান ৫১ জন; নামঞ্জুর হয় ৪১ জনের এবং তৃতীয় দিনে ৬১ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন, নামঞ্জুর হয়েছে ৩৫ জনের আর সিদ্ধান্ত হয়নি দুইজন প্রার্থীর আপিল।
আগামী ১৫ ডিসেম্বর আপিল শুনানি শেষ করবে ইসি। কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো ব্যক্তি চাইলে উচ্চ আদালতেও যেতে পারবেন।
তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোট হবে ৭ জানুয়ারি।