গণপূর্ত অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী শনাক্তে ফেস আ্যপ দেখে প্রক্সি দিতে আসা এক ব্যক্তি দৌড়ে পালিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে তাকে আটক করা যায়নি।
দেশে প্রথমবারের মতো সরকারি কোনো নিয়োগ পরীক্ষায় এ ধরনের আ্যপ ব্যবহার করা হলো।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গণপূর্ত অধিদপ্তরের হিসাব সহকারী নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এ পরীক্ষায় অংশ নিতে সশরীরে আসা প্রার্থীর ছবি ও প্রবেশপত্রের ছবি মোবাইলের ফেস ডিটেকশন ক্যামেরার মাধ্যমে মিলিয়ে দেখা হয়। সেখানেই এক ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত করা হয়।
গণপূর্তের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন জানান, প্রবেশপত্রে আগেই ক্যামেরা দিয়ে যাচাইয়ের কথা উল্লেখ ছিল। ফলে ভুয়া পরীক্ষার্থী আসার সাহস পায়নি। আর সবুজবাগ কেন্দ্রে একজন এলেও শনাক্ত হওয়ার পর তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান।
তিনি বলেন, “ওই ভুয়া পরীক্ষার্থী পালানোয় কর্মকর্তাদের বলেছি, সবাই মিলে একজনকে আটকাতে পারলেন না?”
পরীক্ষার্থী শনাক্তে এ ধরনের আ্যপ ব্যবহারে সুফল পাওয়া যাবে বলে মনে করেন তিনি।
সরকারি পরীক্ষায় ফেস আ্যপ ব্যবহারকে স্বাগত জানিয়েছেন পরীক্ষার্থীরাও। গণপূর্তের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এক প্রার্থী বলেন, “পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগে পরীক্ষা দিতে আসা ব্যক্তি ও প্রবেশপত্রের ছবি মিলিয়ে দেখা হয়েছে। এ ধরনের শনাক্তকরণ থাকলে কোনো পরীক্ষায়ই ভুয়া পরীক্ষার্থী অংশ নিতে পারবে না।”