বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ঢাকা। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ২৯৬ নিয়ে তালিকার শীর্ষে উঠে আসে ঢাকা। এই একিউআই স্কোরের মানে হলো,রাজধানীর বাতাসের মান “খুব অস্বাস্থ্যকর” অবস্থায় রয়েছে। এর আগে চলমান ডিসেম্বের মাসে একাধিকবার এই তালিকার শীর্ষে উঠে আসে ঢাকা।
মঙ্গলবার পাকিস্তানের লাহোর ও করাচি এবং ভারতের দিল্লি যথাক্রমে ২৮৯, ২০৫ এবং ১৯৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে “অস্বাস্থ্যকর” বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে “খুব অস্বাস্থ্যকর” এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে “ঝুঁকিপূর্ণ” হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়। এ বছর একাধিকবার দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে আসে ঢাকা।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।