বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইনি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিএনপির এই নেতার আটটি মামলার নিষ্পত্তি করতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির নিয়ে সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, কায়সার কামাল ও সগীর হোসেন লিওন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন জানান, গত ২ নভেম্বর আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হলেও নাশকতার ৮ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখাচ্ছে না পুলিশ। এরমধ্যে সিএমএম কোর্টে জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত জামিন আবেদনগুলো নিয়ে রেখে দিয়েছেন। নিষ্পত্তি করছেন না। এটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছিল। হাইকোর্ট জামিন আবেদনগুলো গ্রহণ করে আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে ঢাকার সিএমএম আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে সরকার পতনের একদফা দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর সমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের ফটক ভেঙে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। সমাবেশের দিন হামলা-সংঘর্ষের পর রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানায় মোট ১১টি মামলা করে পুলিশ। এর মধ্যে ১০ মামলায় আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আসামি করা হয়।
সমাবেশের দিন পুলিশ কনস্টেবল আমিনুল পারভেজ হত্যা মামলায় গত ২ নভেম্বর আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পল্টন থানার এক নাশকতার মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার দেখানো হলেও বাকি ৮ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখাচ্ছে না পুলিশ।