সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রির নিচে নামলে মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ রাখা যাবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে মাউশি।
চিঠিতে বলা হয়েছে, “দেশের বিভিন্ন জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। চলমান এ শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে মর্মে জানা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে যেসব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে (সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসের প্রমাণক অনুযায়ী) নেমে যাবে, আঞ্চলিক উপ-পরিচালকগণ সেসব জেলার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তদূর্ধ্ব না হওয়া পর্যন্ত) রাখার নির্দেশনা দেবেন।”
এদিকে, সারাদেশেই নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে পৌষের শীত। ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চল ঢেকে আছে ঘন কুয়াশার চাদরে; অনেক স্থানেই দেখা মিলছে না সূর্যের। কোথাও কোথাও উত্তরী হাওয়া বাড়িয়ে তুলছে শীতের তীব্র অনুভূতি।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে ৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ছিল বরিশালে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ঢাকার ১৪.৮ থেকে ১ ডিগ্রি কমে ১৩.৮ ডিগ্রিতে নেমেছে।
এদিকে ১২ ডিগ্রির নিচে থাকা অঞ্চলগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ১০; বান্দরবানে ১০.২; নওগাঁর বদলগাছীতে ১০.৩; বগুড়ায় ১০.৪; তেঁতুলিয়ায় ১০.৭; বরিশালে ১০.৮; ভোলা, নীলফামারীর ডিমলা ও কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১১, খুলনায় ১১.৩, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও দিনাজপুরে ১১.৪, রাঙামাটিতে ১১.৫; নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১১.৬; চট্টগ্রামে ১১.৭; রংপুর, রাজশাহী ও গোপালগঞ্জে ১১.৮; কুষ্টিয়ার কুমারখালী ও পাবনার ঈশ্বরদীতে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।