গাজীপুরে আবুল হোসেন (৪০) নামে এক ব্যক্তির জননাঙ্গ কেটে দিয়েছেন তার স্ত্রী নিপা আক্তার (৩৪)। পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের ধারণা।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকার জরুন (উত্তরপাড়া) ভাড়া বাসা থেকে অভিযুক্ত নিপাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই বাসায় ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা জড়ো হলে স্বামীকে “পোকা কামড় দিয়েছে” বলে দাবি করেন অভিযুক্ত নারী।
আবুল হোসেনের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণকাঠি গ্রামে। তার স্ত্রী নিপা আক্তারের বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ গাবুড়া গ্রামে। তারা জরুন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। আবুল ছয় বছর আগে গোপনে হাসনা বেগম নামে আরেক পোশাক শ্রমিককে বিয়ে করেন। এই বিয়ের কথা সম্প্রতি জেনে যান প্রথম স্ত্রী। এ নিয়ে মনোমালিন্য থেকেই তিনি স্বামীর ওপর চড়াও হন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের বরাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কোনাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান খান জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আবুল হোসেনের চিৎকারে প্রতিবেশীদের ঘুম ভেঙে যায়। প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে গেলে নিপা জানান, তার স্বামীর জননাঙ্গে পোকা কামড় দিয়েছে।
ভুক্তভোগীকে প্রথমে একটি স্থানীয় ক্লিনিকে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাতেই জানান ব্লেড দিয়ে আবুল হোসেনের জননাঙ্গ কেটে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, রবিবার রাতে জরুনের বাসায় ফেরেন অভিযুক্ত নিপা। প্রতিবেশীদের জানান, তার স্বামী সুস্থ আছেন। সোমবার দুপুরে বাসা থেকে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে কোনাবাড়ী থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় নিপার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন আবুলের দ্বিতীয় স্ত্রী।
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে, দ্বিতীয় বিয়ের কারণে কলহের জেরে ওই নারী এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্তকে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।”