কয়েক দিন আগেই আবাসিক গ্রাহক পর্যায়ে প্রিপেইড মিটার ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছিল তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। মিটার চালানো ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় সমন্বয় করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চলমান জানুয়ারি মাস থেকে প্রিপেইড মিটার ভাড়া ২০০ টাকা করেছে তিতাস, যা এত দিন ছিল ১০০ টাকা।
এবার একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)। জানুয়ারি মাস থেকে চট্টগ্রামের আবাসিক গ্যাস গ্রাহক পর্যায়ে প্রি-পেইড মিটারের ভাড়া ২০০ টাকা করে নিচ্ছে সংস্থাটি। যা এত দিন ছিল ১০০ টাকা।
তবে মিটার ভাড়া দ্বিগুণ করা হলেও কেজিডিসিএল পূর্ব ঘোষণা দেয়নি বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।
এ প্রসঙ্গে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (কেজিডিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. নাহিদ আলম অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “গত জানুয়ারি থেকে চট্টগ্রামে গ্যাসের প্রি-পেইড মিটার ভাড়া ১০০ টাকার স্থলে ২০০ টাকা করে কাটা হচ্ছে। চট্টগ্রামে বর্তমানে ৬০ হাজার আবাসিক গ্রাহকের কাছে প্রি-পেইড মিটার আছে। নতুন করে আরও এক লাখ প্রি-পেইড মিটার লাগানোর কাজ চলমান আছে। নতুন এ প্রকল্পের অধীনে নগরীর হালিশহর এলাকায় ইতিমধ্যে এক হাজার ২০০টি প্রি-পেইড মিটার লাগানো হয়েছে। বাকিগুলোর কাজ চলমান আছে।”
কেজিডিসিএলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) প্রকৌশলী অনুপম দত্ত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “প্রি-পেইড মিটার ভাড়া ২০০ টাকা হারে নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা রয়েছে। মিটার ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে কেজিডিসিএলের অফিসে একটি নোটিশ টানানো হয়েছিল।”
কেজিডিসিএল বলছে, কর্ণফুলী গ্যাসের আবাসিকে গ্যাসের চুলা আছে ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬১টি। এর মধ্যে জাইকার অর্থায়নে ন্যাচারাল গ্যাস এফিসিয়েন্সি প্রজেক্টের মাধ্যমে ৬০ হাজার গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনে কেজিডিসিএল। ২৪৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৫ সালে হাতে নেওয়া এ প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০১৯ সালে। মিটার ভাড়া বাবদ ২০০ টাকা করে নিলে প্রতি মাসে ৬০ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে কাটা হবে এক কোটি ২০ লাখ টাকা করে।
এদিকে, আবাসিক গ্রাহকদের জন্য প্রি-পেইড মিটার স্থাপন প্রকল্প শিরোনামে ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে এক লাখ মিটার স্থাপনের জন্য দ্বিতীয় ধাপে প্রকল্প হাতে নেয় কেজিডিসিএল। প্রকল্পটির বাস্তবায়নে প্রথমে মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। পাশাপাশি সময় বেড়ে হয়েছে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত।
কেজিডিসিএল জানিয়েছে, চট্টগ্রামে অন্তত ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট বেশি গ্যাসের চাহিদা আছে। এর মধ্যে গ্যাস মিলছে মাত্র ২২০ থেকে ২৬০ মিলিয়ন ঘনফুট। চট্টগ্রামে বেশ কয়েক বছর ধরে আবাসিকে গ্যাসের সংযোগ বন্ধ রয়েছে। পর্যাপ্ত গ্যাস মিলছে না শিল্প-কারখানায়।