গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রীকে খাটের সঙ্গে বেঁধে রেখে, মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে হৃদয় (২২) নামে এক তরুণ ফাঁস নিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিমখন্ড এলাকার একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান জানান, মৃত হৃদয়ের বাড়ি মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলায়।
স্থানীয়রা জানান, আর্জিনা তার দ্বিতীয় স্ত্রী। চার মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। তবে এ বিষয়ে হৃদয়ের প্রথম স্ত্রী মোহনা কিছুই জানতেন না। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে শ্রীপুর পৌরসভার মসজিদ মোড় এলাকার আফাজ উদ্দিনের বাসা ভাড়া নেন তিনি। স্থানীয় বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন হৃদয়।
কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়ে তারা কিছু বলতে পারেননি।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে দোকান থেকে বাসায় ফেরেন হৃদয়। তখন স্ত্রীর সঙ্গে তার হাসি-ঠাট্টা হয়। কয়েক ঘণ্টা পর হৃদয় আবার বাসা থেকে বের হন। রাতে বাসায় ফিরেই তিনি স্ত্রীর হাত-পা খাটের সঙ্গে বেঁধে ফেলেন এবং মুখে কাপড় গুঁজে দেন। একপর্যায়ে হৃদয় স্ত্রীর ওড়না গলায় পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যার প্রস্তুতি নিলে আর্জিনা চিৎকার শুরু করেন। তখন আবার স্ত্রীর মুখে কাপড় গুঁজে ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেন হৃদয়।
একপর্যায়ে স্ত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘরের দরজা ভেঙে হৃদয়ের ঝুলন্ত লাশ এবং আর্জিনাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করে।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনায়েত কবির বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্ত্রী আর্জিনা বলেন, “হৃদয় আগেও একটা বিয়ে করেছে তা আমার জানা ছিল না। তার সঙ্গে পরিচয়ের পর বিয়ের প্রস্তাব দিলে আমি তাকে বিয়ে করি। কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা বলতে পারছি না।”