খুলনায় গৃহবধূর চোখ-মুখে আঠা দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা বা লিখিত অভিযোগ দেয়নি কেউ। ভুক্তভোগীর স্বামী জানিয়েছেন, স্ত্রীর মুখে কথা ফিরলে ঘটনা জেনে-বুঝে মামলা করা হবে। এদিকে, অভিযোগ না হলেও তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
গৃহবধূর স্বামী বলেন, “স্ত্রী কথা বলতে পারছে না এখনও। কথা বলতে পারলে প্রকৃত ঘটনা জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই মুহূর্তে তার (ভুক্তভোগী) শরীর ভালো নেই। আগে তাকে সুস্থ করা জরুরি। সবাই হাসপাতালে থাকায় বাড়ির ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করা যাচ্ছে না। তবে দুল টেনে নেওয়ায় তার দুই কানের লতি কেটে গেছে। সেলাই করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে পাইকগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান বলেন, “ওই ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেননি। তাই মামলাও হয়নি। তবে পুলিশ থেমে নেই। অপরাধীদের শনাক্ত করতে তৎপর রয়েছে।”
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মো. কনক হোসেন বলেন, “হাসপাতালে ওই রোগীকে অবচেতন অবস্থায় আনা হয়। তার চোখের পাতা ও ঠোঁটে আঠা লাগানো ছিল। শরীরে আঁচড় ও আঘাতের চিহ্ন ছিল।”
খুমেক হাসপাতাল ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সমন্বয়কারী সুমন রায় বলেন, “১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ওই গৃহবধূর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। অসুস্থতার কারণে তাকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে।”
গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে খুলনার পাইকগাছায় বাড়িতে ডাকাতি ও গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ওঠে। প্রতিবেশীরা তাকে ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে হাত-পা বাঁধা ও চোখে-মুখে আঠা লাগানো অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে।