পবিত্র রমজান উপলক্ষে ফিলিস্তিনের গাজায় খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (১১ মার্চ) মিসরের বিখ্যাত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক সংস্থা আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউজ এ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।
মিসরের অনলাইন সংবাদমাধ্যম আহরাম অনলাইনকে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটির মুখপাত্র আবদেল-আলীম কাশতা জানিয়েছেন, বিশ্বের কয়েকটি দেশ থেকে গাজায় ১০০টি ট্রাকে করে ২,০০০ টন ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশসহ আরও ৮টি দেশের অনুদান সবচেয়ে বেশি। অন্যান্য দেশগুলো হলো– ইন্দোনেশিয়া, ভারত, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ফ্রান্স, চীন, কানাডা এবং জার্মানি।
আবদেল-আলীম কাশতা জানান, ত্রাণের পণ্যবাহী ট্রাকগুলো মিসরের উত্তর সিনাই থেকে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজায় প্রবেশ করবে।
আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউজ এক বিবৃতিতে বলেছে, গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় চ্যারিটির পক্ষ থেকে ত্রাণের যত চালান গেছে, সেসবের মধ্যে এই চালানটি পঞ্চম এবং বৃহত্তম।
গাজায় খাদ্য ও পানির অভাবে মারা যাচ্ছে শিশুরাকাশতা জানান, গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪,০০০ টন খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
গাজায় যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং উপত্যকাটির পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু না হওয়া পর্যন্ত, সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউজ।
বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, “সেভ গাজা” ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে ত্রাণ বহরটিতে বিশ্বের ৮০টি দেশের মানুষের অনুদান রয়েছে। মিশরসহ সারা বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দান করতে ইচ্ছুক মানুষদের সংস্থাটির ওয়েবসাইট ভিজিট করতে বলেছে তারা।
