ইউনাইটেড নেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে (ইউএনডিপি) চাকরি দেওয়ার নাম করে কলোরোয়া বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের ৪ শিক্ষার্থীর নগ্ন ছবি জোরপূর্বক মোবাইলে ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ইন্টারনেট) ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে দুই প্রতারককে আটক করেছে শ্যামনগর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে মুন্সিগঞ্জ বন অফিসের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে পুলিশের উপ-পরিদর্শক রাজ কুমার পাল তাদের আটক করে। আটককৃতরা হলো- কলারোয়া থানার হিজলদি গ্রামে মৃত হারেজ উদ্দীন মোল্যার ছেলে রফিকুল ইসলাম মোল্যা এবং একই এলাকার নজরুল ইসলাম গাইনের মেয়ে শ্যামলী খাতুন। এ ঘটনায় এক শিক্ষার্থী শ্যামনগর থানায় পর্ণোগ্রাফি আইনে ৩০ নং ধারায় মামলা করেছে।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, রফিকুল ইসলাম নিজেকে ইউএনডিপি সংস্থার কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মোটা বেতনে ইউএনডিপিতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখায় বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের ৪ শিক্ষার্থীকে । এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন একই কলেজের শিক্ষার্থী শ্যামলী খাতুন।
পরবর্তীতে গত বুধবার চাকরির ট্রেনিং-এর নাম করে রফিকুল ঐ ৪ শিক্ষার্থীকে সুশীলন রিসোর্ট সেন্টারে নিয়ে আসে। ওই দিন সন্ধ্যা ৬ টার দিকে প্রতারক রফিকুল রিসোর্ট সেন্টারের ৩০৩ নং কক্ষে তাদের আটকে রেখে জোরপূর্বক তাদের নগ্ন ছবি মোবাইলে ধারণ করে এবং ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়।
এর প্রেক্ষিতে ঘটনার পরদিন সকালে ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী কৌশলে এ বিষয়ে শ্যামনগর থানাকে অবহিত করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রফিকুলের কাছ থেকে নগ্ন ছবিসহ একটি আইফোন জব্দ করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রফিকুল ইসলাম বর্তমানে শিক্ষা অধিদপ্তরের ওএসডি প্রাপ্ত। এর আগে তিনি কলারোয়া সরকারী কলেজের জীববিদ্যা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে এর আগে কর্মরত ছিলেন।
শ্যামনগর থানার ওসি হাবিল হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে”।