বগুড়ায় মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে সোহান শেখ সাওয়াল (২৫) নামে এক ব্যক্তিকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৫মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাওয়ালের মৃত্যু হয়।
এর আগে, সকালে সদর উপজেলার এরুলিয়া ইউনিয়নের ছোট কুমিড়া পশ্চিমপাড়ায় বৃহস্পতিবার তাকে মারধরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আইজুল হক বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় একটি পরিবারের পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকালে নিশিন্দারা উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক জালাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন বগুড়া সদর উপজেলার ছোট কুমিড়া পশ্চিমপাড়ার রেজাউল করিম (৫৫), তার স্ত্রী শানু আকতার (৪৫) ও মেয়ে মুন আকতার (১৯)।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত সোহান শেখ সাওয়াল বাস চালকের সহকারীর কাজ করতেন। মাঝে মধ্যে তিনি প্রতিবেশী রেজাউলের বাড়িতে যেতেন। কয়েকদিন আগে রেজাউলের বাড়ি থেকে মোবাইল ফোন চুরি হয়। এ জন্য সাওয়ালকে সন্দেহ করা হয়। রেজাউল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাওয়ালকে বাড়ি থেকে ডেকে আনেন। তাকে চুরি যাওয়া ফোন ফিরিয়ে দিতে চাপ দেওয়া হয়। চুরির কথা অস্বীকার করায় রেজাউল ও তার পরিবারের সদস্যরা সাওয়ালকে বাড়ির পাশে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ফেলে। এরপর তারা সাওয়ালকে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।
পরে স্থানীয়রা সাওয়ালকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি মারা যান।
নিশিন্দারা উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) জামাল উদ্দিন জানান, সাওয়ালের মরদেহ উদ্ধার করে ওই হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের বাবা সদর থানায় রেজাউল করিম, তার স্ত্রী শানু আকতার মেয়ে মুন আকতার ও তাদের আরও দুই ছেলে-মেয়ের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।
তিনি আরও জানান, এজাহারে পূর্ব শত্রুতার জেরে তার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে রেজাউল, শানু ও মুনকে গ্রেপ্তার করে। অন্য আসামএদরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।