গাজীপুরের কালিয়াকৈর কোনাপাড়া এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মোছা. কমলা খাতুন (৬৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ছয় দিন আগের আগের ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৪ জনে।
বুধবার (২০ মার্চ) ভোর ৪টা ২৫ মিনিটে তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম জানান, কমলা খাতুনের শরীরের ৮০% দগ্ধ হয়েছিল।
মৃত কমলা খাতুন সিরাজগঞ্জ কাজিপুর উপজেলার পানা গারি গ্রামের বাসিন্দা। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে টপস্টার এলাকায় থাকতেন তিনি।
বর্তমানে হাসপাতালটিতে এ ঘটনায় দগ্ধ আরও ১৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান তিনি। যাদের বেশিরভাগের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পাঁচজন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এর আগে, গত ১৫ মার্চ থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাইবা (৩), আরিফুল ইসলাম (৩৫), মহিদুল (২৪), নার্গিস খাতুন (২২), মনসুর আলী ও সোলাইমান মোল্লা, জহিরুল ইসলাম (৪০), মোতালেব (৪৫), সোলায়মান (৯), রাব্বি (১৩), তাওহিদ (৭), তাইবা (৪), ইয়াসিন আরাফাত (২১) ও মশিউর আলী (২২) মারা যান।
গত ১৩ মার্চ গাজীপুরের কালিয়াকৈরের তেলিরচালা এলাকায় শফিকুল ইসলাম খানের বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩৬ জন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে ৩২ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
পরদিন ১৪ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ৩২ জনের কেউই শঙ্কামুক্ত নন। দগ্ধদের মধ্যে অন্তত ১৬ জনের শরীরের ৮০% পুড়ে গেছে।