ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনি এলাকায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে বাস চলাচল করতে পারবে।
আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
এ ছাড়া পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র দেখিয়ে যেকোনো পরিবহনে চলাচল করতে পারবে। তবে অহেতুক ঘোরাফেরার জন্যে কোনো ধরনের যান ব্যবহার করা যাবে না বলে জানান সিইসি।
নির্বাচনের কারণে দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় আজ রাত ১২টা থেকে আগামীকাল রাত ১২টা পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচলে এর আগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘ঢাকা শহরে অনেক ইমার্জেন্সি বিষয় আছে। এয়ারপোর্টে একজন যাত্রী যাবে, তার জন্য কি বন্ধ থাকবে? অ্যাম্বুলেন্স যাবে, এক্সপোর্ট-ইমপোর্টের জিনিসগুলো যাবে, এরকম জিনিসগুলো বিবেচনা করে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া আছে, যাতে এভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। ব্যাপকভাবে সব বন্ধ করে দেওয়া হয়নি।’
ঢাকা শহরে প্রচুর প্রাইভেট গাড়ি আছে। এগুলো চলাচলের ওপর নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘না, প্রাইভেট ভেহিকেল নির্ধারিত কোনো কাজ ছাড়া চলাচল করতে পারবে না। ঘোরাফেরা করার জন্য তো আর চলবে না। এটা নিয়ে বেশি আলোচনা করার দরকার নেই। এটা ঢাকা শহর তো অনেক ধরনের ইমার্জেন্সি বিষয় থাকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য যারা থাকবেন, তারা এগুলো বুঝবেন।’
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে যানবাহন চলবে। আর জরুরি প্রয়োজনে যারা যান (প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল) ব্যবহার করবে, তারা আমাদের কাছ থেকে স্টিকার সংগ্রহ করবে। এছাড়াও পুলিশকে যদি কেউ তার প্রয়োজনের কথা বলে, তারাও কিন্তু তাদের অনুমতি দেবে। অহেতুক ঘোরাফেরার জন্য অকারণে তো যানবাহন চলতে দেওয়া যাবে না। অন্যথায় একটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে। পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র দেখিয়ে যান ব্যবহার করতে পারবে।’
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ডিএনসিসিতে মেয়র উপনির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে। একইসঙ্গে এই সিটিসহ দক্ষিণের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে।