গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের দক্ষিণে আউটার সিগন্যালে (কাজীবাড়ি) টাঙ্গাইল কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “দুর্ঘটনাটি কী কারণে ঘটেছে, কারও গাফিলতি আছে কি-না, এসব বিষয়ে জানতে কমিটি করা হয়েছে।”
কমিটির প্রধান হলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমান। কমিটিকে আগামী দুই দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, দুই ট্রেনের সংঘর্ষের কারণে ওই রুটে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এরইমধ্যে উদ্ধারকারী ট্রেন ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছে। ঘটনার পরপরই গাজীপুরের জেলা প্রশাসক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান।
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, “ভুল সিগন্যালের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তেলবাহী ট্রেনটি যাচ্ছিল রংপুরে এবং শুক্রবার থাকায় টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনে যাত্রীর সংখ্যা কম ছিল। এ ট্রেনটি ঢাকায় ফিরছিল।”
তিনি বলেন, “যাত্রীবাহী ট্রেনটি তেলবাহী ট্রেনের লাইনে প্রবেশ করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দ্রুত উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।”
জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার হানিফ মিয়া জানান, সিগন্যাল ম্যানের ভুলের কারণে টাঙ্গাইল কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। মালবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।
তিনি বলেন, “ট্রেন চলাচল কখন শুরু হবে এটি এখনো বলা যাচ্ছে না। বগি লাইনচ্যুত হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকে আশপাশের বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন থামিয়ে রাখা হয়েছে।”
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ্ আল আরেফিন জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের লোকো মাস্টারসহ (ট্রেনের চালক) বেশ কয়েজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সাতজনকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্যরা নিজ দায়িত্বে বিভিন্ন ফার্মেসি ও ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।