ঢাকার সাভার উপজেলায় আঞ্চলিক সড়কে রিকশা-অটোরিকশা থেকে চাঁদা তুলছিলেন কয়েকজন। হঠাৎ ঘটনাস্থলে পুলিশের আগমন। গাড়ি দেখে দৌড় দেয় চাঁদাবাজরা। পিছু নিয়ে দুইজনকে হাতেনাতে ধরে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় চাঁদার টাকাও। পুলিশ বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
রবিবার (৫ মে) সকালে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার সুমন মিয়া (৩৬) ও ফরিদপুর সাগর খানকে (২৭) আদালতে পাঠায় আশুলিয়া থানা পুলিশ। এর আগে শনিবার বিকেলে আশুলিয়ার নরসিংহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দ করা হয় চাঁদাবাজির ২,২০০ টাকা। তাদের আরও দুই সহযোগী ছাগির ও নুরুল দেওয়ান ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
গ্রেপ্তার সুমনের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটায় আর সাগরে বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায়। তারা আশুলিয়ার নরসিংহপুর ও গোমাইল এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা নরসিংহপুর এলাকায় রিকশা-অটোরিকশা চালকদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করে আসছিল। প্রতিটি রিকশা থেকে তারা ৬০-৮০ টাকা করে চাঁদা আদায় করত। খবর পেয়ে শনিবার ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশ দেখে দৌড় দেয় চাঁদাবাজরা। ধাওয়া করে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, আমরা চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে আছি। চাঁদাবাজির যেকোনো তথ্য পেলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নরসিংহপুর থেকে দুইজনকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে। তাদের সহযোগীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।