পরীক্ষার হলে আলোক স্বল্পতা রোধে পরীক্ষার্থীদের চার্জলাইট বা মোমবাতি সঙ্গে আনার পরামর্শ দিয়েছে চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (৮ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন নির্দেশনা দিয়েছেন কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষ পরীক্ষা-২০২২-এর আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২২ সালের অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার্থীদের জানানো যাচ্ছে যে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্নতার কারণে সাময়িকভাবে পরীক্ষার হলে আলোক স্বল্পতা হতে পারে। সেজন্য পরীক্ষার্থীদের ছোট চার্জলাইট বা মোমবাতি সঙ্গে রাখার জন্য নির্দেশক্রমে পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে।
এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। কলেজের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অনেকেই বিষয়টি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করছেন।
মোরশেদ হোসেন চৌধুরী নামে চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের সাবেক এক শিক্ষার্থী বলেন, “পরীক্ষার হলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা কলেজ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। অথচ কলেজ কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে এ সংকট নিরসন না করে শিক্ষার্থীদের মোমবাতি বা চার্জলাইট নিয়ে পরীক্ষার হলে আসার পরামর্শ দেওয়াটা উদ্ভট।”
বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে ড. মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান বলেন, “গত ২৩ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষা শেষ হবে ১৯ মে। অনার্স তৃতীয় বর্ষের এ চূড়ান্ত পরীক্ষায় ১,৩০০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে পরীক্ষার হলে বিদ্যুৎ না থাকায় পরীক্ষা নিতে সমস্যা হয়েছে। কেননা, কলেজে জেনারেটর নেই। এর আগে, গত ৬ মে বিদ্যুৎ না থাকায় মোমবাতি ও বিভিন্ন আলো জ্বালিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ কারণে শিক্ষার্থীদের ছোট চার্জলাইট কিংবা মোমবাতি সঙ্গে আনার পরামর্শ দিয়ে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।”
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুমেন কুমার বড়ুয়া বলেন, “গত ৬ মে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দিনের বেলায় পুরো অন্ধকার নেমে আসে। এর মধ্যে চলে যায় বিদ্যুৎ। এ কারণে পরীক্ষায় বসা শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। আবার পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নেওয়া নিষিদ্ধ। এ কারণে এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলেও যাতে পরীক্ষায় ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয় এজন্য আগাম প্রস্তুতি হিসেবে চার্জলাইট বা মোমবাতি আনতে বলা হয়েছে। এটাকে এত বড় করে দেখার কিছুই নেই।”
তিনি আরও বলেন, “দুর্যোগে আলোর স্বল্পতা রোধে রুমে আইপিএস সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এছাড়া বিদ্যুৎ গেলেও যাতে জ্বলে এ ধরনের লাইটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ অফিসকেও অবগত করা হয়েছে যাতে পরীক্ষার সময় লোডশেডিং না করে।”