উচ্চ সুদহারের মধ্যে দ্রব্যমূল্য বাড়তে থাকায় মূল্যস্ফীতির প্রভাবে হিমশিম খাচ্ছেন ঢাকার বাসিন্দারা। গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ বেড়েছে মাছ, শাকসবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ প্রায় সব ভোগ্যপণ্যের দাম। শাকসবজি, মাংস, মুরগি ও মাছের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও চড়া দাম রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন পেশার একাধিক ক্রেতা।
তারা বলেন, “প্রায় সব ধরনের শাকসবজি, মাছ, মাংসসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অনেক বেড়েছে। তবে দাম আপাতত কমার সম্ভাবনা নেই।”
একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, “মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান ৮৪ থেকে ১১৭ টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা ক্রেতাদের ওপর মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলেছে। শুধু টাকার অবমূল্যায়ন নয়, নিত্যপণ্যের দাম, জ্বালানির দামও বেড়েছে, বেড়েছে সুদহার। এসবের প্রভাব পড়েছে ভোক্তা বাজারে।”
আবুল হোসেনের মতোই একই কথা জানালেন আরও অনেকে।
কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর, মহাখালী, মালিবাগসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। মান ভেদে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়, যা সপ্তাহের অন্যান্য দিনের চেয়ে ৩০ টাকা কেজি বেড়েছে। মান ভেদে খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১,০০০ থেকে ১,১৮০ টাকায়, যা কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে।
শুক্রবার কারওয়ান বাজার মাছের বাজারে ৪৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬৫০ টাকা এবং এক কেজি ওজনের ইলিশ ১,৮০০ থেকে ২,০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১,০০০ টাকায়।
রুই ও কার্প জাতীয় মাছ কেজি হিসেবে ও মান অনুযায়ী ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। নদীর ছোট মাছসহ অন্যান্য মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে।
বিগত বছরগুলোর তুলনায় সবজির দাম এখনো চড়াই রয়েছে।
শুক্রবার প্রতি কেজি বেগুন, ঢেঁড়স, সজনে, শিম, করলাসহ সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে মৌসুম শেষ হওয়ায় বেড়েছে টমেটোর দাম। ভালো মানের টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। বেগুনসহ অন্যান্য সবজি প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লাউ, চালকুমড়া ও ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা, রসুন ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, আদা ২০০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চাল, গম, আটা, দুধ, সয়াবিন, সুগন্ধি চালসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।