Tuesday, March 18, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

ঢাকার কাঁচাবাজারে ‘সিটি টোল’ বন্ধের আহ্বান সাঈদ খোকনের

সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি

আপডেট : ১৮ মে ২০২৪, ০৬:০২ পিএম

ঢাকা শহরের কাঁচাবাজারে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

শনিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে “এগিয়ে ছিল দক্ষিণ ঢাকা” স্মৃতির পাতায় ফিরে দেখা’ শীর্ষক সভায় এসব কথা বলেন।

প্রশ্নোত্তর পর্বে সাঈদ খোকন বলেন, “আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছি। আমার সংসদীয় এলাকার থানা-পুলিশ যখন চাঁদাবাজি বন্ধ করতে যায়, তখন চাঁদাবাজরা সংশ্লিষ্ট কর্পোরেশনের একটা কাগজ (সিটি টোল) দেখায় যে, তারা বৈধতা নিয়ে এই চাঁদাবাজি করছে। অর্থাৎ সিটি টোলের একটা প্রটেকশন তারা পায়। এই চাঁদাবাজি বন্ধ হলে কাঁচাবাজারের শাকসবজি থেকে শুরু করে মাছ, মাংস কম দামে কিনতে পারবেন নগরবাসী।”

এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক এই মেয়র বলেন, “সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, এটি ব্যবসায়িক কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। সেবামূলক প্রতিষ্ঠান বিভিন্নভাবে রাজস্ব আহরণ করে জনগণকে সেবা দিতে। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো লাভ-লোকসানের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। আর সরকারের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো সেবা নিশ্চিত করার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। সে কারণে দৃষ্টিভঙ্গির একটি বড় পার্থক্য আছে।”

দক্ষিণ সিটিতে অবকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রচুর বরাদ্দ দিয়েছেন জানিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, “আমার সময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী, জনদুর্ভোগ কমানো ছিল আমার মূল দায়িত্ব। মেয়র থাকাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী আমাকে প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন। সিটি কর্পোরেশনকে চাঁদাবাজি করতে হয়নি।”

“ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা নিয়ে দক্ষিণ সিটি কর্তৃপক্ষ মনগড়া বক্তব্য দিয়েছেন” এমন মন্তব্য করে সাঈদ খোকন বলেন, “দক্ষিণ সিটির দায়িত্বশীল এক ব্যক্তি (মেয়র তাপস) কয়েক দিন আগে গণমাধ্যমে বলেছেন, ২০১৯-এর তুলনায় ২০২৩ সালে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪২ হাজার কম ছিল। অথচ স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। এর মধ্যে ঢাকা শহরে রোগীর সংখ্যা ছিল ৫১ হাজার ৮১০ জন, আর বাইরে ছিল ৪৯ হাজার। অপরদিকে ২০২৩ সালে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে আক্রান্ত হন ১ লাখ ১০ হাজার ৮ জন। এ ছাড়া গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাতেই ৯৮০ জন মারা যান। এই হিসাবে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ঢাকায় ৫৮ হাজার ১৯৮ জন ডেঙ্গু রোগী বেশি ছিল।”

দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে ইঙ্গিত করে সাঈদ খোকন বলেন, “আমি দক্ষিণ সিটির মেয়র থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালে ঢাকা শহরে ব্যাপকহারে এডিস মশার বিস্তার ঘটে। তখন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। এ চেষ্টায় কোনো ত্রুটি রাখিনি। ডেঙ্গু আক্রান্ত নগরবাসীকে রেখে পরিবার নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করিনি।”

আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সাঈদ খোকন প্রার্থী হতে উচ্ছুক কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, “আমার প্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি চান, তা হলে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব, ইনশাআল্লাহ।”

   

About

Popular Links

x