গোপালগঞ্জে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষক, এক শিক্ষার্থীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) রাত ৮টায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাসপুর ইউনিয়নের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পূর্বপাড়া সেতুর পাশে এবং সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় চাপাইল মধুমতী পার্কের সামনে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন- গোপালগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক পিনাকী রঞ্জন দাস (৫৭), পুইশুর গ্রামের জুয়েল মোল্লা (৪৫), এম এইচ খান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক বাবুল সরকার (৪৮) এবং পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ও ফরিদপুর সদরের শোলাকুণ্ডু গ্রামের বাসিন্দা রামিম শেখ (১২)।
রামিম গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের ঘোষেরচর দক্ষিণপাড়ায় মামার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করত।
ঘটনার সত্যতা ঢাকা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক আল মাহামুদ।
তিনি জানান, ২১ মে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা শেষে কাশিয়ানী থেকে মোটরসাইকেলে করে গোপালগঞ্জ সদরে ফিরছিলেন পিনাকী রঞ্জন, জুয়েল মোল্লা ও বাবুল সরকার। হরিদাসপুর পূর্বপাড়া সেতুর পাশে পৌঁছালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা একটি বাসের সঙ্গে তাদের বহনকারী মোটরসাইকেলটির সংঘর্ষ হয়। এতে ওই তিন ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হলে জুয়েলকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অন্যদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে পিনাকী ও বাবুলের মৃত্যু হয়।
হাইওয়ে পুলিশ আরও জানায়, শনিবার মামার সঙ্গে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয় রামিম শেখ। সদর উপজেলায় চাপাইল-গোপালগঞ্জ সড়কের মধুমতী পার্কের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয় রামিম। হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।