কক্সবাজারের উখিয়ায় ক্যাম্প থেকে সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) চার সন্ত্রাসীকে আটক করেছে এপিবিএন। তাদের কাছ থেকে বেশকিছু হ্যান্ড গ্রেনেড, ওয়াকিটকি, অস্ত্র ও গুলি জব্দ করা হয়েছে।
রবিবার (১৯ মে) বিকেলে ক্যাম্পে দায়িত্বরত ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোহাম্মদ ইকবাল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
মোহাম্মদ ইকবাল জানান, শনিবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত উখিয়ার ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এস-১/বি-৭ ব্লক সংলগ্ন (সীমানার বাইরে) গঁইয়াম বাগানে অভিযান চালায় পুলিশ।
অভিযানে আটক করা হয়- উখিয়ার ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ-৮১ ব্লকের আমির হোসেন (২৯), একই ক্যাম্পের এইচ-১০০ ব্লকের জিয়াউর রহমান (৩২), ৪ নম্বর ক্যাম্প সি-৪ ব্লকের সৈয়দুল আমিন (৩০) এবং ৭ নম্বর ক্যাম্পের এ-১ ব্লকের মো. হারুনকে (২২)।
তারা মিয়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা’র সদস্য ও একাধিক মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বলে জানান এই এপিবিএন অধিনায়ক।
ইকবাল আরও জানান, রাতে উখিয়া উপজেলার ২০ এক্সটেনশন নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কয়েকজন অস্ত্রধারী জড়ো হয়েছে- এমন খবর পেয়ে এপিবিএন-এর একাধিক দল সাঁড়াশি অভিযান চালায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা এপিবিএন সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে এপিবিএন সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির একপর্যায়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এপিবিএন সদস্যরা তাদের চারজনকে আটক করেন।
তাদের দেওয়া তথ্যমতে, আরসা সন্ত্রাসীদের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া যায় চারটি হ্যান্ডগ্রেনেড, দেশে তৈরি সাতটি বন্দুক, চার্জারসহ দুটি ওয়াকিটকি, ৯টি গুলি, হ্যান্ডগ্রেনেডে ব্যবহৃত দুই প্যাকেট লোহার বল, দুটি কিরিচ দা ও কয়েকটি হেলমেট।
এপিবিএন অধিনায়ক জানান, আটকরা সকলে মিয়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা’র সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। আরও মামলার প্রক্রিয়া চলছে।