প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে দুই নারীসহ অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব জেলা হলো খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও চট্টগ্রাম। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান ঝড়ে প্রাণহানির এ তথ্য জানান।
মৃতরা হলেন, খুলনার লালচাঁদ মোড়ল, বরিশালের জালাল সিকদার, মো. মোকলেছ, লোকমান হোসেন, সাতক্ষীরার শওকত মোড়ল, পটুয়াখালীর মো. শহীদ, ভোলার জাহাঙ্গীর, মাইশা, মনেজা খাতুন ও চট্টগ্রামের ছাইফুল ইসলাম হৃদয়।
মৃত্যুর কারণ হিসেবে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বসতঘরের ওপরে গাছ পড়ে, বাজারে যাওয়ার সময় গাছ পড়ে, জলোচ্ছ্বাসে সৃষ্ট পানিতে ডুবে, দেয়াল ভেঙে এবং নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল ধসে তাদের মৃত্যু হয়েছে। আর একজন সাইক্লোন সেন্টারে যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।
এর আগে রবিবার রাত আটটার দিকে মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম শুরু করে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনাসহ উপকূলের বিভিন্ন জেলায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। এর প্রভাবে বিভিন্ন এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়।