ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে বাংলাদেশের উপকূলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দেড় লাখ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু বাঁধ ভেঙেছে। এতে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। অনেক এলাকায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সমুদ্রের লোনাপানি ঢুকে পড়েছে চাষের ক্ষেতে।
সোমবার (২৭ মে) বিকেলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে জানান, রিমালের কারণে খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও চট্টগ্রামে ১০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে বরিশাল ও ভোলায় তিনজন করে, খুলনা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী ও চট্টগ্রাম জেলায় একজন করে মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বহু জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে। তাই বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। ধীরে ধীরে সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার কাজ শুরু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পৌনে তিন কোটি মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেছেন, “ঘূর্ণিঝড়ে ১৯ জেলার ১০৭টি উপজেলার বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মোট ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩৭ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি। পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫,৪৮৩টি ঘরবাড়ি। এছাড়া আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২টি ঘরবাড়ি।”
পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা
সোমবার দুপুরের পর থেকে কলকাতায় বৃষ্টি বন্ধ হয়েছে। জমে থাকা পানি অনেকটাই নেমে গেছে। মঙ্গলবার সকালে সামান্য রোদ উঠেছে। তবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
রিমালের ফলে পশ্চিমবঙ্গে মোট ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে একজন মারা গেছেন হুকিং করা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। পানিহাটিতে হুকিং করা তার ঝড়ে ছিঁড়ে যায়। তাতে গোপাল বর্মন নামে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
ঝড়ে তার ছিঁড়ে জলে পড়ে যাওয়ার ফলে নুঙ্গিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন তাপসী দাস নামে এক নারী।
মঙ্গলবার থেকে পুরোদমে প্রচার শুরু হয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কলকাতায় রোড শো করছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদযাত্রা করতে পারেন।