সর্বহারা পরিচয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই শিক্ষককে হত্যার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ওই দুই শিক্ষককে একই নাম্বার থেকে ফোন করে এ হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় নগরীর মতিহার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেছেন ওই দুই শিক্ষক।
হুমকিপ্রাপ্ত দুই শিক্ষক হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম এবং দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোতাছিম বিল্লাহ। আমিনুল ইসলাম সৈয়দ আমীর আলী হলের বর্তমান প্রাধ্যক্ষ।
ড. আমিনুল ইসলামের জিডির কপি সূত্রে জানা যায়, সর্বহারা পরিচয় দিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে ০১৭২৫-৬৬৪৯৭২ নাম্বার থেকে ফোন করে টাকা দাবি করা হয়। এসময় টাকা না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। ওই ব্যাক্তি নিজেকে মতিন বলে পরিচয় দেয়। পরে ওই নাম্বারে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৫ সালেও একইভাবে ড. আমিনুল ইসলামের কাছে এক কোটি টাকা দাবি করা হয়। ওই ঘটনা তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন তিনি। আমিনুল ইসলামের অভিযোগ তখন পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আমলে নেয়নি।
ড. আমিনুল ইসলাম বলেন, "গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আমাকে ফোন দিয়ে বলা হয় দীর্ঘদিন থেকে আপনি টার্গেটে আছেন। আপনাকে মেরে ফেলা হবে। কিন্তু আপনি ভদ্র মানুষ তাই আর্থিক সমঝোতা করতে চাই। কত টাকা দেবেন বলেন? তবে, আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছি"।
"এর আগে ১৫-২০ দিন আগে ১০-১৫ লোক আমরা বাড়ির প্রহরীকে হুমকি দিয়ে যায়। আমি বিষয়টি ৪-৫দিন পর জানতে পারি। এর প্রেক্ষিতে আমি গত ১ মার্চ সকালে থানায় জিডি করেছি", যোগ করেন তিনি।
হুমকিপ্রাপ্ত দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহতাসিম বিল্লাহ বলেন, "একই দিন (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আমাকে ফোন করে টাকা দাবি করে অজ্ঞাত এক ব্যাক্তি। সে নিজেকে সর্বহারা কমান্ডার মহিউদ্দিন পরিচয় দেয়। অর্থদিতে অস্বকৃতি জানালে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। ওই রাতে আমি মতিহার থানায় জিডি দায়ের করেছি"।
জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, "বিষয়টি শুনেছি। রবিবার একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক শেষে বিষয়টি জানাতে চেয়েছেন তারা। জানালে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে"।
মতিহার থানার পুলিশেল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক জিডি দায়ের করেছেন। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে"।