Saturday, March 22, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

ডিটি ফ্যাক্টচেক: ফেসবুকে ভাইরাল এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর বিজ্ঞপ্তি ভুয়া

৩০ জুনেই শুরু হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা

আপডেট : ০১ জুন ২০২৪, ০৫:২০ পিএম

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানোর বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া বলে জানিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।

শনিবার (১ জুন) এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আবুল বাশার জানিয়েছেন, ঘোষিত সূচি অনুযায়ী ৩০ জুন থেকেই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরীক্ষার তারিখ সংক্রান্ত যে বিজ্ঞপ্তি প্রচার হয়েছে সেটি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শাখা থেকে ইস্যু করা নয়। শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রচারিত সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

অপপ্রচার থেকে সবাইকে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।

গত বৃহস্পতিবার থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানো নিয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের নামে একটি নোটিশের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ঘোষিত সূচি অনুযায়ী ৩০ জুন থেকেই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড/ঢাকা ট্রিবিউন

কথিত এই নোটিশটি প্রকাশের তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ৩০ মে। এতে ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা একমাস পেছানো হয়েছে দাবি করে কারণ হিসেবে আগাম ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও দুই দফা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। দাবি করা হয়, পরবর্তিত সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা শুরু হবে ৩০ জুলাই। যদিও এই তারিখে এইচএসসি সংক্রান্ত কোনো নোটিশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা ঢাকা শিক্ষা বোর্ড দেয়নি।

ওয়েবসাইটে এইচএসসি সংক্রান্ত সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে গত ২৬ মে। আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার মূল উত্তরপত্র, অতিরিক্ত উত্তরপত্র, ব্যবহারিক উত্তরপত্র ও এমসিকিউসহ অন্যান্য সরঞ্জাম কেন্দ্রে বিতরণ প্রসঙ্গে দেওয়া এই বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। 

বাংলাদেশের তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার বলছে, ভুয়া এই নোটিশটি ঢাকা বোর্ডের গত ১২ মে তারিখের একটি নোটিশের ওপর সম্পাদনা করা হয়েছে। ওই নোটিশে এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪-এর ফরম পূরণের সময় বর্ধিতকরণের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছিল। ওই নোটিশটির মূল লেখা পুরোটাই মুছে দিয়ে সেখানে আলোচিত দাবির তথ্য বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে মুছে দেওয়া হয়েছে স্বাক্ষরকারী ব্যক্তির পাশে থাকা তারিখও। নোটিশ প্রকাশের তারিখ বদলে ফেললেও দুইটি নোটিশের স্মারক নম্বর দেখে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে যে, এই নোটিশকেই সম্পাদনা করা হয়েছে।

   

About

Popular Links

x