রাজধানীর বারিধারায় ডিপ্লোম্যাটিক জোনে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশ কনস্টেবল কাওসার আহমেদের গুলিতে নিহত আরেক কনস্টেবল মনিরুলের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়নি। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গেই পড়ে আছে তার মরদেহ।
রবিবার (৯ জুন) বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিহত মনিরুলের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার রিফাত রহমান শামীম।
পুলিশ জানিয়েছে, ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়া চিকিৎসকরা ময়নাতদন্ত করতে চাচ্ছেন না। এজন্য এখনও ময়নাতদন্ত হয়নি।
এর আগে, শনিবার দিবাগত রাতে ফিলিস্তিন দূতাবাসের নিরাপত্তাকর্মীদের কক্ষে গুলির এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় জাপান দূতাবাসের এক গাড়িচালকও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি গুলশানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে, রবিবার দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপ্স) ড. খ. মহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, গুলিতে নিহত কনস্টেবল মনিরুলের সঙ্গে অভিযুক্ত কনস্টেবল কাউসার আহমেদের তর্কাতর্কি হয়। উত্তেজিত হয়ে কনস্টেবল কাউসার সহকর্মী মনিরুলের দিকে ৮-৯ রাউন্ড গুলি ছোড়েন।
তবে কী নিয়ে তর্ক ও কী কারণে কনস্টেবল কাউসার উত্তেজিত ছিলেন সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তদন্ত করে সেটি বের করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।