আকাশে উড়ে বেড়ানোর এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি প্যারাসেইলিং। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের আকাশে উড়ে বেড়ানোর রোমাঞ্চকর অনুভূতিতে বাড়তি মাত্রা যোগ করে সমুদ্রের পাশের সবুজ পাহাড়। তাই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের অনেকেই প্যারাসাইলিং করে থাকেন।
তবে আপতাত কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণপিপাসুদের এই রোমাঞ্চকর অনুভূতি থেকে বঞ্চিত থাকতে হবে। কারণ, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্যারাসেইলিং বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সম্প্রতি কক্সবাজারে প্যারাসেইলিং করার সময় দুর্ঘটনায় শিকার হয়েছেন কয়েকজন পর্যটক। ফলে নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, যারা প্যারাসেইলিং পরিচালনা করছেন তাদের মধ্যে অনেকেই অদক্ষ। প্রশাসনের নির্দেশনা ও শর্ত মানছেন না তারা।
এ অবস্থায় সোমবার (১০ জুন) থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্যারাসেইলিং পরিচালনা কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মো. মাসুদ রানা সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্যারাসেইলিং পরিচালনা কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।
তিনি বলেন, “ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি যাচাই বাছাই ও সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা টেকনিক্যাল টিম কর্তৃক মূল্যায়ন সাপেক্ষে পুনরায় চালু করে দেওয়া হবে।”
জেলা প্রশাসনের এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, প্যারাসেইলিং বিষয়ে অভিজ্ঞ বিমানবাহিনীর কমান্ডো অফিসার, নৌবাহিনীর দক্ষ প্রশিক্ষক, লাইফ গার্ড ট্রেইনারসহ টেকনিক্যাল টিম সামগ্রিক মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
তিনি, “আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বিমানবাহিনীর কমান্ডো অফিসার, নৌবাহিনীর দক্ষ প্রশিক্ষক, লাইফ গার্ড ট্রেইনার দিয়ে মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু হবে। যারা প্রশিক্ষণে উত্তীর্ণ হবে, তাদেরকেই প্যারাসেইলিং পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হবে। একইসঙ্গে প্রতিমাসেই এই মূল্যায়ন কার্যক্রম চলবে। কারণ আমরা চাই, কক্সবাজার ভ্রমণে আসা প্রত্যেক পর্যটক নিরাপদে ভ্রমণ করুক।"